• Uncategorized
  • 0

কবিতায় আলিউজ্জামান

এক গুচ্ছ শীতল বাড়ি 

(১)

জামবনে ফুল ঝরে পড়ার পর
আস্ত নোঙর খানি বালির মুখে
জাঁকিয়ে বসে।
অপসৃয়মান আলোয়
পূর্বজন্মের বাক্যলিপির সারমর্ম থেকে
এক দীর্ঘকায় শরীর
আমারই বুকপকেট ছিঁড়ে হাতিয়ে নেয়
খুচরো একশো পয়সার ধাতব শব্দ।
তারপর ক্রসকাষ্ঠে ঝোলানোর আগে
আগুনে পুড়তে থাকে
এক গুচ্ছ শীতল বাড়ি।

(২)

রোদ্রলিপির বুকে ঋণের দায়ে ঝুঁকে পড়া
মাথা রেখে দেখি
অশ্বত্থ গাছের নিবিড় উষ্ণতায় নাভির ঘা শুকিয়ে আসছে
কলমিফুলের লোভে ,
তাই,
হে রোদ্রকামিনী‌
চলো
কুড়ুল কাষ্ঠে মাথা রেখে দেখি!
আমাদের জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে
পৌঁছলো কিনা!

(৩)

এভাবে সাদা দিস্তার উপর রঙ পড়লে।
আমার বাল্যকালের কুন্তলের কথা
মনে পড়ে!
যে আয়েশার সাথে মাছ ধরার কালে
চাঁদ দেখে বলেছিল
তিন বাঞ্ছার অভিলাষে
বাগান আজও বেঁচে আছে
শচী সিন্ধু গর্ভে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।