মহানগরী ছাড়া আর কোত্থাও বয়স্ক মানুষ নেই,
রোগী নেই, বাচ্চা নেই, প্রসূতি মা’ও নেই ।
ওরা নির্লিপ্ত সবেতেই
ওদের খাবার-পানীয় জলের অভাব নেই, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ নিয়ে উচ্চ বাচ্য নেই
…অভিযোগ তুলে ধরার গলাও নেই ;
ওখানে কোন গাছও পড়েনি,
ওখানে কেউ বিপদে পড়েনি
সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা –
ওরা সবার অলক্ষ্যে বেঁচেও আছে, থাকবেও।
ওরা ফোকাসহীন আলোকবর্তিকা ,
ওরা প্রদীপের তলার জমাট অন্ধকার ..
গাঁইয়া, শ্রমজীবী , ওরা উন্নয়নের ধারক বাহক।
ওরা অবরোধ করেনা.. বিক্ষোভ করেনা,
অপেক্ষাও না ।
ওরা অধৈর্য হয়ে কেঁদেও মরেনা ।
ছবিওয়ালারা ওদের জন্য সময় অপচয় করতেও চায়না, ছবিওয়ালাদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ আর কোলকাতা সমার্থক।
ভারতবর্ষ হাঁটছে
ক্ষুধার্ত শিশু মা’র কোলে ঝুলে
তেষ্টায় ছাতি ফাটছে..
ভারতবর্ষ হাঁটছে।
পথের ক্লান্তি পথে পড়ে থাকে
এরাই দেশকে কাঁধে ধরে রাখে
অথচ তাদের ঘরে ফিরে যেতে-
পথে হেঁটে দিন কাটছে।
ভাগ্যবিধাতা তুমি দেখে যাও
ভারতবর্ষ হাঁটছে।
নিরন্ন ভুখা মুখ গুলো দেখো
জলের বোতল চাটছে ..
ভারতবর্ষ হাঁটছে।
ট্রলি ব্যাগে শিশু চেপে শুয়ে থাকে
প্রাণপণে টেনে যেতে হয় মা কে
কোন অপরাধে আজকে তাঁদের-
পথে পথে দিন কাটছে ?
ওগো ঈশ্বর তুমি দেখে যাও
ভারতবর্ষ হাঁটছে।
দিশেহারা হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে
রেলপথে রাত কাটছে..
ভারতবর্ষ হাঁটছে।
ক্লান্ত দেহকে কালঘুম ডাকে
সকালে ছিন্ন দেহ পড়ে থাকে
পথচেয়ে থাকা পরিজনদের
কান্নায় বুক ফাটছে..
হায় ভগবান শুনতে পাচ্ছো
ভারতবর্ষ হাঁটছে।