কবিতায় অত্রি ভট্টাচার্য্য

এঁড়ের দরে
১
গন্ধ-ও তার প্রমাদ, শিয়রের আরশী তীরবিদ্ধ
জানালা। এ দুর্দশাব্যাপী শঙ্কার প্রিয় বৃক্ষটি হতে
আপত্তি নেই, যেন যাবার সময়
ঠোঁটে মিশে থাকে বনতৃপ্তি, উচ্চারণের
গৃহিত রটনা, শ্বাপদ প্রতিবেশীরা
প্রতিটি যাওয়া উপলক্ষ্যে হাতে তুলে নেয় সন্ধ্যাপ্রদীপ।
তিতুমীরের দেশে ঝড় জমিয়ে রাখে বাঁশঝাড়,
দু’-একটি আপন হলেই প্রাণের লুঙ্গীতে
ফেটে পড়বে।
২
এ প্রটোটাইপ বাতাস, বিদায়ের ফোন উড়ছে
সবচেয়ে বিশ্বাসঘাতক বন্ধুর গেলাস খালি হলে
তলানি পড়বে। গন্তব্যটি গুছিয়ে তোলার আগেই তার।
এ কম্বলসমা অন্ধকার, শীতকে প্রকৃত মুর্খ হতে
সেইসব নাইটস্কুল খুলতে খুলতে নিজেই
শিক্ষক। প্যাঁচাও এত ঘনিষ্ঠতা
পছন্দ করে না।
৩
চাইলে বলেই চত্ত্বর ভরে উঠল। এক এক আনার
দাম্পত্যে বিকিয়ে গেল জোড়া জোড়া মশাল। অর্থাৎ
প্রতিবাদের অংশতঃ তোমারও ছিল, পাজামার
দড়িতে ফেঁসে এমন আছাড় খেলে এমন
এঁড়ের দরে যজ্ঞে বসলে যখন বেরোলে
নিয়ন ছাড়া কিচ্ছুটি তোমার নেই।
রাস্তাও সারাদিনের ধুলো ধুতে বনে গিয়েছে।