কবিতায় অঞ্জন দাস

ইলিশ বর্ণমালা
দুটো বাস ছুটছে
নর্থবেঙ্গল
সাউথবেঙ্গল
ইষ্ট বা ওয়েষ্টবেঙ্গল বাসনেই
বাসে নেই
দুটো বাসের ডেলি প্যাসেঞ্জার
মুখস্থ বলেদিতে পারি
ইস্পাত লিখছে তাঁরা
জীবন চুক্তির মেয়াদ
আখবনে ঢ্যাঁডরা বাজছে
শেয়ালের যাবতীয় চক্রান্ত
ফরসা হলেই চুকে যাবে
জঙ্গলে জেগে আছে বাতিঘর
সৈকত জমে যাচ্ছো ক্ষীর
বাঘের থাবা জলায় খেলছে মোরাল মাছেরা
ভ্যাসেলে পেরোতে পার নদী
গলা থেকে নাভীর পিপাসা নিও মাঠ
ওপারে উওর পুরুষ ফেটে যাবে
অদ্ভুত নিশ্চিহ্ন হবে মিষ্টি জলেরা
সভ্যতা শয়তান হলে
মোহনা রিতুস্রাব ইলিশ বর্ণমালা
বরফে আর লুকোবেনা মুখ
এযাবৎপাঠযোগ্য কবিতারা রুমাল নিয়োনা নাকে
তাকে বলো সন্ধ্যা নামলে ও যুদ্ধ থামেনি
বলো সবঢাকে কাঠি লাগে শুধু
বেড়ানোর আনন্দ খুঁজে নিতে হয় ছুটছে দু দুটো বাস
ফ্রকের সমস্ত দরজা বন্ধ করা হোক
তোমার
হাতঘড়ি কাঁটা হারিয়েছে
জুমকরে দেখে নাও পেছনে কোথায়
আঙ্গুলের টিপ নিহত ট্রয়ের ঘোড়া
শিলাবৃষ্টি মাঝারি আমের আনন্দ বাগান
সেলাই মেশিনে
ফিতে ছিঁড়ে গেলে
হুল্লোড় চলে যায় চলে সারথী
চিৎকার বাতাবি লেবুর ঘামে
ফ্রকের সমস্ত দরজা বন্ধ করা হোক
হে দিব্যজ্ঞান
তোমার হাতঘড়ি
কাঁটা হারিয়েছে
জুমকরে দেখে নাও কোথায় রয়েছে
শেষমেশ অর্জুন মৃতদের আবার মেরেছো কিনা
তোমার সমস্ত ফাঁকে শিলাবৃষ্টি…
মাতাল জমা হয় কালুর দোকানে
কুসুম কুমারী
খনি অঞ্চল
তোমাকে দাহ্য করি ভেতর আগুন অহমিকা
অলৌকিক ধোঁওয়া কুসুম কুমারী গাছে
দিনভর নাচে মধুবনী জাম অন্ধকার
হীরক আংটি খুলে রাখি বৃষ্টি শাখারা
পাহারা ঠিকরে যায় ,তুমুল বর্ণালী
গদ্য নদী বাঁকে অমর্ত্য কুসুমে কুসুমে
ঝুঁকে থাকে তথাগত প্রাচীন মিশর