• Uncategorized
  • 0

“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় মন্দিরা ঘোষ

মনের মানুষ

শীতের পশমি কথারা নিজস্ব খামে উড়ে যাবার আগে যেন কিছু বার্তা দিয়ে যায় প্রতিবার। হলুদ চিঠির বিষণ্নতা ছুঁয়ে থাকে কোপাইয়ের মনখারাপ।সোনাঝুরির ডালে পাতায় মুখরা হয় চৈতালি বিকেল।
লালমোরামের রাস্তায় সেদিনের ধুলোর সংকোচ যেন আজও মুখ লুকিয়ে।এ যে সেই পথ যেখানে তার পায়ের ভার টুকু বুকে নিয়ে জেগে থাকে বাতাসি রাত।বসন্ত তার রঙের তুলি দিয়ে মুছে রাখে ভোরের শেষ অংশটুকু… সেখানে যে তার চলে যাওয়ার কিন্তুটি জ্বলজ্বলে হয়ে ফুটে আছে !

দুপাশের শালবীথি,বেণুকুঞ্জ, আকন্দ আর সীমফুলের গায়ে ঝেঁপে আসা চিকনরোদে মনকেমনের দোতারা ।কেউ যেন দুহাত দিয়ে আগলে রেখেছে ব্যথার আলোটুকু!
সে যে বড্ড আপন,ভেতরের! আঁচটুকু লেগে আছে বুকের মধ্যিখানে ।তা যে দেখানো যায় না!
…..যেন সেই পঁচিশ বছরের শোক! ছলছল চোখে ডুরে শাড়ি পড়ে চলে যাওয়ার সময়টিকে কুড়িয়ে এনেছে দুহাতে।
সেদিন যা ছিল শোক আজ তা শান্তি নয় কেন!আজ কেন মেঘলা হয়ে হাহাকারের ঘরে বৃষ্টি নামায়!

ভেতরের যা কিছু তা যে বাইরে শেষ করে দেওয়া যায় না!তাই কখন ফতুর হয়ে সবটুকু দেবার অধিকার বিলিয়ে নিঃস্ব হবার, আনন্দ খুঁজে নেবার পথ গড়ে চলা আমাদের সেই অসীমের মুগ্ধতায়…..
তাঁর এই সুরটি যেন কানে কানে বলে –একটিই পথ বাইরের সরল তারের একতারার মতো…আমার মনের মানুষের চলায় চলায় বেজে চলেছে।….
আমি সেই রাঙামাটির নকশিকাঁথার জাজিমে মনের মানুষের প্রার্থনা পেতে বসে আছি….মনকেমনের বাঁশি যেন চৈত্রের পাগলামি হয়ে প্রেমের রঙে মিশিয়ে দেবে এতকালের না পাওয়া বেদনার ভার।
যেন সাঁওতাল মেয়েটির সবুজ স্তনে বৈশাখী ঝড় এঁকে চিরবিরহের বীজ বুনে সেই সুর ছড়িয়ে দেবে অচেনা পাখিটির ডানায় !
দূর থেকে ভেসে আসা মাদলের দ্রিমি দ্রিমি ঢেউয়ের আচ্ছন্নতা ছাপিয়ে ছায়াময় আগুন রঙা জোব্বাটি ভেসে ভেসে তখন এক আকাশ….
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।