“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় মন্দিরা ঘোষ
মনের মানুষ
শীতের পশমি কথারা নিজস্ব খামে উড়ে যাবার আগে যেন কিছু বার্তা দিয়ে যায় প্রতিবার। হলুদ চিঠির বিষণ্নতা ছুঁয়ে থাকে কোপাইয়ের মনখারাপ।সোনাঝুরির ডালে পাতায় মুখরা হয় চৈতালি বিকেল।
লালমোরামের রাস্তায় সেদিনের ধুলোর সংকোচ যেন আজও মুখ লুকিয়ে।এ যে সেই পথ যেখানে তার পায়ের ভার টুকু বুকে নিয়ে জেগে থাকে বাতাসি রাত।বসন্ত তার রঙের তুলি দিয়ে মুছে রাখে ভোরের শেষ অংশটুকু… সেখানে যে তার চলে যাওয়ার কিন্তুটি জ্বলজ্বলে হয়ে ফুটে আছে !
দুপাশের শালবীথি,বেণুকুঞ্জ, আকন্দ আর সীমফুলের গায়ে ঝেঁপে আসা চিকনরোদে মনকেমনের দোতারা ।কেউ যেন দুহাত দিয়ে আগলে রেখেছে ব্যথার আলোটুকু!
সে যে বড্ড আপন,ভেতরের! আঁচটুকু লেগে আছে বুকের মধ্যিখানে ।তা যে দেখানো যায় না!
…..যেন সেই পঁচিশ বছরের শোক! ছলছল চোখে ডুরে শাড়ি পড়ে চলে যাওয়ার সময়টিকে কুড়িয়ে এনেছে দুহাতে।
সেদিন যা ছিল শোক আজ তা শান্তি নয় কেন!আজ কেন মেঘলা হয়ে হাহাকারের ঘরে বৃষ্টি নামায়!