এবারের বৈশাখ বেশ শোকস্তব্ধ,
চারিপাশে অবাধ্য বাতাস বইছে বেশ ভারী ।
নিজেদের আকাশে বহুদিন বাদে হারিয়ে যাওয়া,
পরিযায়ী পাখিরা ঘরে ফিরেছে
মাইলের পর মাইল হেঁটে !
এরমধ্যে বাতাসে বিষ ছড়িয়ে গেল কত প্রাণ,
অদৃশ্য যম পৃথিবীতে ঘরে ঘরে আনছে মরণ !
চারিদিকে যখন চিৎকার করছে মানুষ
খাবার নেই,জীবনের সচ্ছলতা নেই !
মনের স্বাধীনতা নেই,শান্তি নেই
বাক্ স্বাধীনতা পথেঘাটে পাথর ছুঁড়ছে,
এমন একটি বছরে পঁচিশে বৈশাখ।
ছবির ঠাকুর,মাটির ঠাকুর,প্রাণের ঠাকুর
মনের ঠাকুর সবাই যখন ভুলতে বসেছে !
এমন সময় তোমার জন্মদিন ।
জীবন ও জীবাণুর এই অসম যুদ্ধের সময়ে
রক্তের মাঝে তুমি আজও বেঁচে আছো প্রমাণ।
তাই শুধু বলবো হে ঠাকুর
পৃথিবীতে অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও।
প্রেম পুজা গানে
সাগরের মধ্য অতল জলরাশি,
প্রতিনিয়ত মেঘ হয়ে
আকাশে বৃষ্টি ঝড়ায়!
আগুনের পরশ দিয়ে,
মন ছুঁয়ে যায়।
আমিও অতৃপ্তির মাঝে
খুঁজে চলি এক সূর্যের আলোয় নিজেকে।
শোকে দুঃখ আনন্দে জীবনের গানে,
সপ্তসূরে তোমার শব্দমালা রোজ নতুন পথ আনে
নব বৈশাখী ঝড় মনে করিয়ে দেয়,
তোমার আগমন বার্তার সময় ।
পুরাতন যাকিছু সব ভুলে মেতে উঠি,
নতুন রবি কিরণে হয় অন্তর আত্মার পরিশুদ্ধি!
উজ্জীবিত শক্তি নিয়ে
আমি এগিয়ে চলি বীরপুরুষ হয়ে
পৃথিবীর এই অশান্ত পরিবেশে কোথাও
তোমাকে স্মরণ করি আমার প্রেমে, প্রকৃতিতে
স্বদেশ পুজোর ডালি সাজিয়ে।