বিল্টু আজ ১লা বৈশাখ শুনে সকাল থেকে খুব জেদ ধরেছে যে দাদু-ঠাকুমার কাছে শান্তিনিকেতন এর ভিটে বাড়িতে ফিরে যাবে। কিন্তু দেশজুড়ে চারিদিক লকডাউনে মোড়া।
এই ভয়ঙ্কর মহামারী পরিস্থিতিতে লকডাইনের আগেই বিল্টুর বাবা-মা তাঁর নিজের মা-বাবাকে কলকাতার বাড়িতে আনতে চেয়েছিলেন কিন্তু বহুরকম চেষ্টার পরও ওনারা আসেননি, তাই ওরা শান্তিনিকেতন থেকে বিল্টুকে নিয়ে আসে।
বিল্টুর আজ ইচ্ছে প্রতিবারের মতো এবারও শান্তিনিকেতনে ঠাকুমার হাতে সকালে গরম ফুলকো লুচি, আলুর দম। দুপুরে গোবিন্দভোগ চালের ভাত, ডাল,মাছভাজা আর বিকেলে ঘুম থেকে উঠে একবাটি পায়েস খেয়ে নতুন জামাপ্যান্ট, গলায় পাউডার আর চুল আঁচড়ে দাদুর সাথে ১লা বৈশাখে হালখাতা পুজো হয় গণেশ মুদির দোকানে, তো সেখান থেকে মিষ্টির প্যাকেট আর ক্যালেন্ডার আনতে যাবে।
বিল্টুর সকাল থেকে বায়না,জেদ দেখে বিল্টু মা-বাবা খুব ধমক আর দু-এক ঘা দিয়েও বসলো।
বিল্টুর দোষটাই বা কোথায়?
এই ভয়ঙ্কর মহামারী পরিস্থিতিকে বোঝা ওর বছর সাতেক বয়সের পক্ষে নিদারুণ কঠিন।
যে অভ্যেস আর অধিকার এতদিন বজায় রয়ে গেল, সেটা কি একটা মহামারী কখনও এতসহজে মনের ইচ্ছে, অভ্যেস আর অধিকারকে বদলাতে পারে?