• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় শকুন্তলা সান্যাল

একটা হাঁচি

এমনিতেই চিনি রাতের বেলায় ছাদে ঘুরে বেড়ায় । সেদিনো সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ছাদে।রাত তখন প্রায় দুটো হবে।ছাদ থেকে সিঁড়ি নেবে গেছে ঘরের বারান্দায় ।বারান্দায় আসার পরেই মাধবী লতার গন্ধ  মনে আসতে উঠে গেছে সে।কোথায় ফুটছে ফুল কে জানে!এক মন কেমনের  গন্ধ  শুধু । চিনি এদিকে  ঝোঁকে ওদিকে ঝোঁকে কোনো মাধবী লতাই চোখে পড়েনা তার।এই সময়ই এই গন্ধ টা রোজ পায় সে ।রাত যত গভীর হয়,তত। পাশের কদম গাছটায় প্যাঁচাটা এসে বসলো।একটা অদ্ভুত উল্টো মুখী হাওয়ায় ঘুমন্ত কাক গুলো ক্যা ক্যা করে উড়তে  শুরু করলো।ক্ষণিক বাদে হাওয়া টাও থেমে  যাওয়ায় কাক গুলো কিছুটা দূরে ইলেকট্রিক তারে গিয়ে  বসলো।মাধবী লতার গন্ধ টা আর পাওয়া যাচ্ছে না তখন।
চিনি ।পাঁচফুট দুই।বয়স ঊনিশের কাছাকাছি ।গায়ের রঙ আটা ময়দা মেশানো।স্কিন স্বাভাবিক পেলব।চুল স্টেপ কার্ট।  এমন ধারাবিবরণী দিচ্ছি  কারণ এমনি একটা চিরকুট আমি দুদিন আগে বাড়ি ঢোকার মুখে ওদের বাড়ির পাশ থেকে পেয়েছি।কেই বা এমন লিখেছে আর কেনই বা ভাবতে ভাবতে সেদিন চায়ের জল বাটিতেই মরে গেছিল।
চিনি প্যাঁচাটা দেখতে যেতেই সেদিন একসাথে তিনটে ঘটনা কোইন্সিডালি ঘটে গেলো।কিছু বোঝার আগেই ।এক, হঠাৎ ঝোড়ো  হাওয়া  প্রায় গা ছুঁয়ে উড়ে গেলো।দুই, গা লাগোয়া ছাদে রিণা বৌদির বিকট হাঁচি শুনতে পেলো সে।আর তিন ,অদৃশ্য এক পাখি যেন গলায় নিমেষে তার নোখের ছাপ  রেখে গেছে ।এই চকিত ঘটনা গুলো এত রাতে একসাথে ঘটে যাওয়ায় চিনিরও হাঁচি শুরু হলো । এক অজানা কারণে আবহ সিকোয়েন্স চিনিকে আক্রান্ত করলো যেন।পায়ে পায়ে ঘরে নেমে এলো সে। আসতে আসতে চলতে থাকা এবিপি নিউজে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ভয় পাবেন না,প্যানিক করবেন না,হাঁচি কাশি মানেই করোনা নয়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *