–বাবা কি হয়েছে সেটা শুনলে তুমি আমার থেকে অনেক গুণ বেশি খুশি হবে বুঝলে।
–আচ্ছা,তা মা কথা টা কি সেটা কি একটু খুলে বলবি,
–বাবা তোমার ধুনী তোমাকে দেওয়া কথা রাখতে পেরেছে বাবা,এত বছর তোমার দেখা সেই স্বপ্ন আজ পূরন হয়েছে।
–কি বলছিস মা..!
–হমম বাবা আজ তোমার ধুনী IPS Officer হতে পেরেছে।(একে অপরকে জড়িয়ে কান্না)
এই দেখো বাবা আমার joining letter—
–ধুনী আজ যদি তোর মা বেঁচে থাকতো তাহলে সে অনেক খুশি হত।
–হমম বাবা…তোমার আর মা এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের জন্যই তো আজ আমি এই জায়গায়,তোমরা যদি আমার পাশে না থাকতে তাহলে হয়ত এই দিন টা কোনদিন আসতোই না বাবা।
–বাবা আমি আজ ও ভুলিনি সেই দিনটার কথা এখনও আমার চোখের সামনে ভাসে সেই দিনটা।
তুমি অনেক কষ্ট করে মা এর অপারেশন টাকা টা যোগাড় করে বাড়ি ফিরছিলে সন্ধায়।হঠাৎ ই তোমার ব্যাগ টা ছিনিয়ে নিল কিছু অপহর্তা।তুমি পাগলের মতো বাড়ি ফিরে এলে।তৎক্ষনাৎ বিলম্ব না করে রাতেই দুজনে গেলাম থানায়,তুমি কাঁদতে কাঁদতে সব জানালে অফিসারকে।কিন্তু ওরা ডায়রি করা তো দূরের কথা তোমার কথা বিশ্বাসই করলো না।তুমি নিরুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত পা ধরে অনুরোধ করলে,তারপরেও ওরা তোমার কোনো কথা না শুনে তোমাকে অতন্ত অপমান করে লাথি মেরে বের করে দিল।কারন আমরা ছিলাম দরিদ্র আমাদের টাকার ক্ষমতা ছিলনা,আমরা রাখতে পারিনি ওদের দাবী। ফিরে এসে ছিলাম।অপারেশন না করাতে পারাই চোখের সামনে তিল তিল করে সেই হয়ে গেল মা,ছেড়ে চলে গেল আমাদের।
সেইদিন বাবা সেইদিন আমি মনে মনে শপথ করে ছিলাম একদিন ওই চেয়ারে আমি বসবই যাতে তোমার মতো আর কোনো বাবাকে অপমানিত হয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে না হয়।যাতে আমার মতো কোনো সন্তান মা হারা না হয়,যাতে আমাদের মতো গরীব অসহায় মানুষরা তাদের ন্যায় পায়,আমি চাই যেন তাদের অসময়ে পাশে থাকতে পারি তাদের সাহায্য করতে পারি।
–ধুনী মা আজ আমি গর্বিত,তোর মতো মেয়ের বাবা হতে পেরে আজ আমি সত্যি গর্বিত।