১
আমাদের পাড়ার বকুলবাবু, শ্রীযুত বকুলরঞ্জন মণ্ডল মশায় বিজ্ঞ লোক। করোনা সংকট থেকে রেহাই পেতে বকুলবাবুর চমৎকার দাওয়াই রামনাম সংকীর্তন। তাঁর বক্তব্য, জোরে জোরে রামনাম করলে না কি করোনা সংকট থেকে মুক্তি মিলবে।
কদিন বাদে বকুলবাবুর সাথে পথে দেখা। বললাম, কেমন আছেন বকুলরঞ্জন বাবু?
তিক্ত মুখে বকুলবাবু বললেন, আর বলো কেন, রেশনে গরিবকে বিনি পয়সায় চাল দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেয় না কেন?
বকুলরঞ্জন বাবু নিজের বাড়িতে একটা ছোটখাটো নার্সিং হোম চালান। একটা লজঝড়ে অ্যাম্বুলেন্সও যোগাড় রেখেছেন। নিজের পরিচয় দেন স্বনিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী। লোকজন আড়ালে বলে, বকুলবাবুর আসল ব্যবসা মুকুল ঝরানো, মানে নার্সিং হোম সাইনবোর্ডের আড়ালে গর্ভপাতের ব্যবসা তাঁর।
তো বিনি পয়সায় রেশন পান না বলে, বকুলবাবুর দুঃখ দেখে বললাম, আপনি তো মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত প্রার্থনা জানাতে পারেন।
কান এঁটো করা হাসি হেসে বকুলরঞ্জন বললেন, তা কি আমি পারি? আমি যে স্বনির্ভর স্বাস্থ্যকর্মী।
আমি তখন বললাম, আপনি যে বলেন, রামনাম করলে যে কোনো সমস্যা কেটে যায়, তো রেশন ব্যাপারেও সেই বুদ্ধি খাটান না কেন?