প্রথমে ঘর ঝাঁট, মোছা, বাগানে একটু জল দেওয়া। একপ্রস্থ ঝড়ে জানলার সব কাঁচ ভেঙে গেছে।ঘুন ধরে আলমারীটাও নড়বড়ে।মেরামতির কাজগুলো সেরে ফেলছি।
এবার রান্না চড়াবো। আমার তিন বার্নার গ্যাস ওভেনে। ঠিক করলাম আজ ভাত বানাবো না।করবো ধোসা কিম্বা পরোটা, আর মুরগীর কাবাব। সঙ্গে একটু চা কফি হলে মন্দ হয় না। কিন্তু কতক্ষন হেঁসেল আগলে বসে থাকবো? এ সংসারে যার যখন সময় হয়, তখন তারা আসে।গরম খাবার মুখের সামনে ধরে দিতে হয়। নইলে যত রাগ আমার ওপর।টেবিল ছেড়ে উঠে পড়বে।
এত কিছুর মধ্যেও ভুলিনা আমার পুষ্যি বেড়ালটাকে নাওয়াতে খাওয়াতে।তারপর ও যখন পেট ভরিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আমি বসে থাকি অপেক্ষায়।
“ও” আসে কলিং বেল বাজিয়ে, ওর অফিসের সুন্দরী পি.এ র কোমর ধরে।দেখে গা জ্বলে যায়।আমার দিকে আঙুল তুলে ওরা বলে ‘তুমি কুৎসিত’।ক্ষমা নাকি মেনে নেব?
পাঁচ নম্বর গেম শেষ করে মোবাইল থেকে ক্লান্ত চোখ সরালাম।জানলা দিয়ে বাইরের একটুকরো পৃথিবী দেখা যাচ্ছে।একটাও মানুষ নেই তাতে।কি জানি তারা এখনো জীবিত না মৃত। বাঁচার আশা বুকে নিয়ে ভাবছি সভ্যতার শেষ মানুষ কি আমি?