• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক T3 অরিজিনাল মিনি সিরিজে নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী (পর্ব – ৪)

ইংরেজ কখনও এদেশে আসেনি – ৪

মুম্বাই থেকে পুনে যাওয়াটা যদি এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরে হয় তবে সেটা বেশ স্মুথ যাত্রা হয়। কিন্তু সে যাত্রা বড়ই বোরিং। বহুবার সেই একই রাস্তা দিয়ে গিয়ে, সেই একই ধাবায় খাবার খেয়ে, সেই একই দৃশ্য দেখে দেখে বিরক্ত হয়ে একবার ঠিক করেছিলাম এবার সেই রাস্তা দিয়ে আর যাব না। পাড়ি দেব অন্য রাস্তায়। যা ভাবা তাই কাজ। পানভেল থেকে একটা ডিটুর নিয়ে যখন লোনাভেলার মধ্যে দিয়ে পুরনো পুনের রাস্তাটা ধরলাম তখন মনটা এমনিতেই খুশি খুশি লাগছিল। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা তেতো হয়ে গেল আমার সহযাত্রীর একটা কথায়।
ঘটনাটা ঘটেছিল অনেকটা এরকম। আমি আর আমার অফিসের সহকর্মী একসাথে কাজে যাচ্ছি পুনাতে। গাড়িতে টুকটাক কথাবার্তা শুরু হলো। একথা সেকথার পর একসময় অবধারিতভাবে চলে এলো রাজনীতি। আলোচনায় বাঙালি থাকবে অথচ পলিটিক্সের রাজা-উজির মারা হবে না, তা কি হয়? তাই কিছুক্ষণ এবড়োখেবড়ো কথাবার্তার পর আমার কোনকানি কলিগ একটা মন্তব্য করে বসলো। সে বলল – দাদা, ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধে বাঙালিরা এগিয়ে আসায় আমাদের কিন্তু বহুৎ সুবিধা হয়েছিল।
আমি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম – কেন?
সে হেসে বলল – দাদা আমি আমার পরদাদার থেকে শুনেছি যে, আমরা অনেক সেয়ানা ছিলাম। আমরা অপেক্ষা করছিলাম বাঙালি পাঞ্জাবীরা মিলে প্রথমে এগিয়ে এসে গুলি খেয়ে দেশ স্বাধীন করবে, আর তা করার পর সেই স্বাধীন দেশে আমরা না হয় রাজ করব।
‘বার খাওয়া বাঙালি’ হাসতে হাসতে ইশারায় সম্ভবত সেই কথাটাই আমার সহকর্মী আমায় বলল। সাধারণত এরকম সূক্ষ্ম অপমান হজম করা আমার ধাতে নেই। তাই একটা মোক্ষম জবাব মুখে এসে গেল। কিন্তু সেটা বলতে গিয়ে থমকে গেলাম।
কেন গেলাম তা বলার আগে আর একবার ফিরে আসি রাজা গণেশের কথায়। রাজা গণেশের আগে ইলিয়াসশাহী বংশ রাজত্ব করত। সেই ইলিয়াস শাহী নবাবদের মধ্যে একজন ছিলেন সিকান্দর শাহ। তিনি তাঁর বংশধরদের হাতে তিনি খুন হয়েছিলেন। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে এই ইরানি নবাব প্রায় সি পি এমের সমান সময় ধরে বাংলা শাসন করেছিলেন। তুরস্ক শাসক সিকান্দার শাহের খাজাঞ্চি ছিলেন ওমর আসাদ। আর ওমর আসাদের নাতির নাম ছিল নুর কুতুবুল আলম। নুর কুতুবুল আলমের বাবা ছিলেন মালদার কাছে পান্ডুয়ার এক দরবেশ। ওয়ালিদ এর ইন্তেকালের পর নূর কুতুবুল আলম তার বাবার জায়গা নেন। তিনি হয়ে ওঠেন গৌড়ের তথা রাজ্যের এক প্রভাবশালী দরবেশ। এদিকে বাংলায় তখন বিদেশি শাসনের পাঁচশ বছর হয়ে গেছে। নুর কুতুবুল মনেপ্রাণে ছিলেন একজন ইলিয়াস শাহী বংশের সমর্থক।
অপদার্থ শিহাব উদ্দিন বায়েজিদকে সরিয়ে গণেশ যখন সিংহাসনে বসেন তখন একদা ইলিয়াসশাহী বংশের মোস্ট ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্টের নাতি কুতুবুল আলমের তা কোনোমতেই পছন্দ হওয়ার কথা নয়। এবং তা হয়নি। কুতুবুল আলম তাঁর এই না পসন্দের জের দুভাবে তুলেছেন। এক, সাধারণ জনগণকে তার প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে নতুন রাজা গণেশের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে। দুই, জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম শর্কিকে চিঠি লিখে বাংলা আক্রমণ করতে বলে। নুর কুতুবুল আলমের দুটি উদ্দেশ্যই সফল হয়। ইব্রাহিম তাঁর চিঠি পেয়ে বাংলা আক্রমণ করতে আসেন।
এরপর দুটি মতামত আছে। একটি বলে, ইব্রাহিমের আক্রমণের ভয়ে রাজা গণেশ নিজের জ্যেষ্ঠপুত্রকে নুর কুতুবুল আলমের হাতে তুলে দেন। দ্বিতীয় মত হল এই যে, ইব্রাহিমকে রাজা গণেশ পরাজিত করেন। কিন্তু নুর কুতুবুল আলম গণেশের জ্যেষ্ঠপুত্র যদুকে অপহরণ করেন এবং শেষ অবধি ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রাজা গণেশ, আলমের কাছে ছেলের ধর্মান্তকরণ স্বীকার করে নেন।
এ ঘটনার কোন প্রামাণ্য ইতিহাস নেই। যার রয়েছে তা হল, দুটো মতকেই স্বীকার ও অস্বীকার করবার মতো কিছু মিথ।
নির্বাক ঐতিহাসিক চিহ্ন হিসেবে পাওয়া গিয়েছে কিছু প্রাচীন মুদ্রা। আর সেই মুদ্রায় রয়েছে তিনজন কাছাকাছি সময়ের শাসকের নাম। জালালউদ্দিন, দনুজমর্দনদেব, মহেন্দ্র দেব। রাজা গণেশের শাসনকাল যদি ৮১৮ -১৯ হিজরি থেকে হয় তবে এই তিন ধরনের মুদ্রায় যে নামগুলো পাওয়া গিয়েছে সম্ভবত সেই ভিত্তিতেই রাজা গণেশ ও দনুজমর্দন দেবকে একই ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। মহেন্দ্রদেবকে কখনো মনে করা হয় রাজা গণেশের কনিষ্ঠপুত্র আবার কখনো বা ও মনে করা হয় যে, যদু প্রথমে কিছুদিন মহেন্দ্রদেব নামে শাসন করেন এবং কিছুদিন পরে জালালউদ্দিন হিসেবে নাম পরিবর্তন করেন। যাই হোক না, কেন এ বিষয়ে দ্বিমত নেই মাত্র সাত বছরের শাসনকালে রাজা গণেশ উত্তরবঙ্গ থেকে চট্টগ্রাম এই বিশাল ভূমি নিজের শাসনাধীন করেন। প্রতিটি বাঙালি জেনে গর্ববোধ করবেন, রাজা গণেশ মধ্যযুগের বাংলার একমাত্র রাজা যিনি নিজের মুদ্রায় আরবি লিপির পরিবর্তে বাংলা লিপির প্রচলন করেন।
গণেশ, জালালউদ্দিন ও তার পুত্র শামসুদ্দিনের পর আবার সিংহাসন ফিরে যায় ইলিয়াসশাহীদের কাছে। নুর কুতুবুল আলমের স্বপ্ন সফল হয়। ইলিয়াসশাহীদের কাছ থেকে সিংহাসন যায় হাবসি এবং হোসেন শাহীর কাছে। তারপর আসে বাঙালির আর এক আনন্দের দিন। বাংলার শাসক হয় ভারত শাসক মোঙ্গোলরা।
ফরঘানার মোঙ্গোলরা যে কিভাবে ভারতে এসে গ্রেট মুঘল হয়ে উঠল তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি আছে। দেশী-বিদেশী বহু লেখকই সেই বিকৃত ইতিহাস লিখে বিস্তর ডলার কামিয়েছেন। সবথেকে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ভারতবাসী সেই ইতিহাসে বিশ্বাস করেছে। অবোধ ভারতবাসীর সেই অবাক সরলতা নিয়ে কচকচানি আপাতত পাশে সরিয়ে রেখে দেখা যাক বাংলা আবার কিভাবে পরাধীন হলো।
বাংলার দিকে নিজেদের লোলুপ থাবা মোঘলরা শুরু থেকেই বাড়িয়েছিল। বাড়ানোর কারণ ছিল, বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১২% দ্রব্য তখন উৎপন্ন হতো বাংলায়, যা ছিল সমগ্র ইউরোপের মোট রপ্তানিযোগ্য উত্পাদনের চেয়েও বেশি। সূক্ষ্ম রেশম বস্ত্র থেকে বাণিজ্যপোত নির্মাণ সবকিছুই হত এখানে। ১৫২৯ সালে বাবর প্রথম বাংলা আক্রমণ করে, তারপর আসে হুমায়ুন, শেরশাহ এবং আকবর দ্যা গ্রেট। বহুভোগ্যা বারাঙ্গনার মত বারবার বাংলা হাতবদল হয় বিদেশী শাসকদের। ১৫৭৬ সালে বাংলার তৎকালীন আফগান শাসককে হারিয়ে মোঘলরা বাংলায় ঢোকে বটে, তবে অসংখ্য নদ, নদী, খাল, বিলের জলে ধোয়া এই সুবায় পায়ের তলায় শুকনো জমি খুঁজে পেতে তাদের লাগে আরো বহু বছর। জাহাঙ্গীরের সময় ইসলাম খান নামে এক সুবাদার কঠোর হাতে বাঙ্গালীদের দমন করে। এবং পরবর্তীকালে সেই লিগাসি বহন করে শায়েস্তা খাঁ, মুর্শিদকুলি এবং আলীবর্দী।
এর মধ্যে শায়েস্তা খাঁর ব্যাপারে একটু বিশেষভাবে বলা যেতেই পারে। কথিত আছে শায়েস্তা খাঁর শাসনামলে বাংলা নাকি অত্যন্ত সস্তা গন্ডার বাজার ছিল। টাকায় আট মণ চাল – এই কথা শায়েস্তা খাঁ এর নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কিন্তু, টাকায় আট মণ চাল – তা কি সত্যিই কোন প্রদেশের সমৃদ্ধির লক্ষণ?
ব্যাপারটা একটু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা যাক। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ের এক টাকাকে আজকের এক টাকার সাথে তুলনা করা অত্যন্ত বালখিল্য ব্যাপার হবে। আজকের কথা বাদ দিন, আজ থেকে তিরিশ, চল্লিশ, একশ বছর আগের এক টাকার সাথে তুলনা করলেও তা ভুল হবে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এক টাকা আয় করতে সাধারণ মানুষের কালঘাম ছুটে যাবার কথা। সে যুগে সারাজীবনেও হয়তো বহু মানুষ এক টাকা একসাথে চোখেও দেখেনি। সে সময় বাংলার মানুষ পৃথিবীর জিডিপিতে কন্ট্রিবিউট করলেও তারা ছিল অত্যন্ত গরিব। ভালো ফসল ফলানো সত্ত্বেও কৃষকেরা দুবেলা পেটপুরে খেতে পেত না, তাঁতিরা পেত না পরবার কাপড়। কৃষকদের নিত্যসঙ্গী ছিল হয় খরা, না হয় অতিফলন। দুই ক্ষেত্রেই হয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হবে অথবা হ্রাস। কৃষক, তাঁতি, সাধারণ শ্রমিকের কোন দৈনিক মজুরির বালাই ছিল না। ধরাবাঁধা দাম ছিল না নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। যদি ফসল কম হতো তবে অনাহার অবশ্যম্ভাবী ছিল। আর বেশি ফসল হলে তখন যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে তা প্রায় মাঠেই নষ্ট হতো, বিক্রি হতো না। অতিফলনে ফসল নষ্ট হওয়ার সময় শুধু টাকায় আট মণ কেন টাকায় আশি মণ চাল পাওয়া গেলেও কিছু আশ্চর্য হওয়ার ব্যাপার ছিল না ।
এখনো যাদের কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো না তাদের বরং একটা প্রাকটিক্যাল উদাহরণ দিই। ১৯৫৩ সালে কলকাতা শহরে ট্রামের ভাড়া নিয়ে ভয়াবহ সংগ্রামের সূত্রপাত হয়। কার লোন, নিজস্ব গাড়ি, মোটরবাইক এইসব দুর্লভ লাক্সারি, সেই আদিম যুগে ট্রাম ছিল আরবান মিডল ক্লাসের কাছে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম।
একবার স্থির হয়, সেই ট্রামের ভাড়া বাড়ানো হবে। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে। ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সবকটি বামপন্থী পার্টি তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। মিটিং-মিছিল ক্ষোভ-বিক্ষোভ ইত্যাদি চরমে ওঠে। গুলিগোলা চলতে থাকে। মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে বামপন্থীরা জনগণের ব্যাপক সমর্থন পায় এবং পরবর্তী নির্বাচনে তার প্রভাব দেখা যায়। শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন দেখা যায় । বামপন্থীরা এই ঘটনার জেরে ক্ষমতায় চলে আসে, সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়ে।
কারোর কি মনে আছে ট্রাম কোম্পানি কত টাকা ভাড়া বাড়ানোর কথা বলেছিল?
এক পয়সা, মাত্র এক পয়সা।
আর সেই এক পয়সা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে এত সেনসেটিভ বিষয় ছিল যে তার জেরে একটি ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বিরোধী দলের হাতে, অবশ্যই জনগণের সমর্থনে। তাহলে ভাবুন আজ থেকে সত্তর বছর আগে এক পয়সার এই দাম হলে তার থেকেও তিনশ বছর আগে সাধারণ মানুষের কাছে এক টাকা কী বস্তু ছিল। ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন।
টাকায় আট মণ চাল – এই ঘটনা কোন সমৃদ্ধির সাক্ষী দেয় না। বরং তা এই ব্যবস্থার সাক্ষী দেয় যে সেসময় হয় দ্রব্যের মূল্যমান প্রচন্ড ভাবে পড়ে গিয়েছিল অথবা সমাজের বেশিরভাগ মানুষের এতটুকুও ক্ষমতা ছিল না যে তারা এক টাকা রোজগার করতে পারে। যা আসলে সমাজের ভয়ঙ্কর আর্থিক অসচ্ছলতা, এক বিশাল ইকনমিক ডিসপ্যারিটি বোঝায়।
কিন্তু শুধু টাকায় আট মণ চালের গল্পতেই বাংলায় সুমহান মোগল সাম্রাজ্যের অবদান শেষ হয়ে যায় না। তারপর থাকে কিভাবে একটি বিদেশী শক্তি একটি প্রদেশের অর্থনীতিকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে পারে। অথচ সেখানকার মানুষ সেই শাসনকর্তাকেই নিজেদের মেসিহা হিসেবে দেখতে থাকে। সেসব পরিচয় এখনও বাকি আছে।
কিন্তু সেসব কথার আগে প্রথম সেই কথাটায় ফিরে আসি। কেন সেই অফিস কলিগের কথার জবাব দিতে গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম? তার কারণ হলো বাঙালির একটি চুটকি। একটি পরিহাস প্রিয় জাতির রহস্যপ্রিয়তার পরিচয় হিসেবে চুটকি থাকতেই পারে। তাতে অসুবিধার কিছু নেই। কিন্তু এই চুটকিটি খুব মারাত্মক। কথাটা মাত্র এক লাইনের। এবং সে কথা আমি ছোট থেকে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন পাড়ার লোকজন, খবরের কাগজ অনেক জায়গাতেই বহুবার শুনেছি, পড়েছি।
কথাটা হল ‘বারে ওঠা ক্ষুদিরাম’।
আগে হ্যাঁ, শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের কথাই হচ্ছে। মাত্র সতেরো বছরের এক কিশোর, যিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য হাসতে হাসতে গান গাইতে গাইতে ফাঁসির মঞ্চে উঠছেন। আর তাঁর দেশের মানুষ তাঁকে চিহ্নিত করছেন নেহাত গ্যাস খেয়ে ফুলে কোন একটা কাজ করে ফেলা মানুষের সঙ্গে। অন্য প্রদেশের মানুষের রসিকতার জবাব আর কী দেব! নিজের জাতির মানুষের অশ্লীল, অভব্য, নোংরা রসিকতায় সারাজীবন লজ্জায় অধোবদন হচ্ছি।
নিজের জাতিকে, তার নায়ককে, নিজের প্রদেশ, নিজের মানুষকে অন্যের কাছে ছোট করার মতো সৎসাহস একমাত্র বিশ্বপ্রেমিক নির্ভীক বাঙালি ছাড়া সম্ভবত এ পৃথিবীতে আর কোন জাতির নেই। ইতিহাসে সেই সাক্ষ্য সে বারবার দিয়েছে। আশা রাখা যাচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যতেও সবসময় দিয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র:
বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস – নগেন্দ্রনাথ বসু
কয়েন্স এন্ড ক্রনোলজি অফ দা আরলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সুলতানস অফ বেঙ্গল – নলিনীকান্ত ভট্টশালী
হিস্টরি অফ বেঙ্গল – যদুনাথ সরকার

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।