খুব ছোটবেলায় বাবা শিখিয়েছিলেন
সকলের সাথে ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে
অসম্ভব এক আনন্দ লুকিয়ে থাকে।
পায়েস, কুলফি, পরোটা থেকে সবকিছু ভাগাভাগি করে খেতে শিখেছিলাম আমরা।
বড়ো হয়ে এক প্রস্থ বাবা মা কে ভাগাভাগি করতে বসি
ভাইবোনের অনুপাতে
দু মাস, তিন মাস সর্বোচ্চ ছ মাসের ভিত্তিতে।
শেষে ভাগাভাগির অঙ্ক না মেলায় বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় মাথা ঠেকাই।
এখন শান্তিতে মোটা বেতনের গন্ধ শুঁকে
দান করি নামজাদা অনাথ আশ্রমে , গায়ে সমাজসেবীর নামাবলি।
পৈতৃক বাড়ি – জমি – গাছ আর যা কিছু
সবকিছুর ভাগ বুঝে নিয়ে,
আরামকেদারায় হ্যালান দিয়ে আপদ বিদেয় হওয়ার দিন গুনি।
মেয়ে বড়ো হচ্ছে, ওর চোখটা হুবহু বাবার মতো
সে চোখে
নিজেকে ভাগ হওয়ার দুঃস্বপ্ন ইদানীং আমাকে রাতে ঘুমোতে দেয় না।