সেই কবে থেকে আমি তোমাকে ভাবছি বলো দেখি? তোমার মন ভার থাকলে
গুমোট হতে থাকে চারপাশ। সবুজ দিগন্তের ভেতরে একটি বিষণ্ণ দুপুর ও নদী
প্রিয় শৈশবের কাছে নিয়ে যায়! এক বৃষ্টির বিকেলে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের গল্প
শোনাতে তুমি যেদিন আমাদের উঠোনে এসে দাঁড়ালে সেদিনও চারপাশে এরকম
শব্দহীন কান্না ছিল! আমরা দু’ধর্মও দু’জন কখনো মুখোমুখি হতে পারিনি! এক
উড়ন্ত জাল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে আমাদের চির চেনা পথ! সেই থেকে অচেনা
দিগন্তের দিকে মুখ সরিয়ে বসে আছো তুমি। চৈত্রর এই দিনে একান্ত আমার বলতে
দ্বিখণ্ডিত চাঁদ, স্মৃতির শহর, না দেখা অরণ্য! উপেক্ষার জলরাশি ভিজিয়ে দিয়েছে
দু’পা! অন্তর বাজিয়ে তুমি যখন অনুপ্রাণিত করো তখন চৌদিক সমুদ্রদর্শনের মত
অনুরাগ হেলে পড়ে! সারাদিন বরফঘরে বসে স্মৃতির বাক্স খুলে কী দ্যাখো তুমি?
কৌতুহলবশত কখনো কখনো জানালার পাশে দাঁড়িয়ে মেঘ ছুঁয়ে দেখি ঠিক যেন
বরফের চাঁই হয়ে কাফকার জামা হাতে তুমি টাইম লাইনে অবনত হয়ে গভীর
পর্যবেক্ষণে মেতে ওঠো! প্রতিদিন ডোরাকাটা ভোরে সুপ্রভাত জানাতে এসে
ইনবক্সে রবিঠাকুরের গানের সাথে তুমিও কেশর দুলিয়ে বিরাম চিহ্ন এঁকে দাও
এইখানে বসে থাকো, আমি বিষয়ক জাগতিক তাবৎ জল ও আলোর সংসারে