সর্বনাশীর ভেতর টের পেয়েছি নিজের বিস্ময়কর ভালোবাসার দৌরাত্ম, এক বেদনাময়তার অনাদর। মৃত্যু থেকে সরে এসে বেঁচে থাকতে চাওয়ার তীব্রতা। নিজের কষ্টের গভীরে প্রেম আর বিষণ্নতার রূপ যেন সুখের শরীর বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। সর্বনাশীর চোখের কাজল স্পর্ধা রেখে গেছে বুকের ঠিক বামে নিরন্তর। ওর হাসি ভালোবেসে ফেলি হাজারো ব্যস্ততায়। প্রেমে পড়ি ওর রূপের। আর ওর অরূপের কাছে সঁপে দিই নিজের অস্তিত্ব। উন্মাদ হয়ে যাই সামান্য ছোঁয়ার ইচ্ছেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় সারা পৃথিবীটা ওর কাছে নতজানু।
প্রেমে পড়লে নয়; বরং ভালোবেসে ফেললে মনের ভেতরের দরজা জানালা খুলে যায়, হালকা হয়ে যায় যন্ত্রণার শরীর। এই কবিতাটা লেখার পর লাইনগুলোর দিকে তাকালে মনে হয়, কিশোরীর মতো বিস্ময়ে সে চেয়ে থাকে আমার দিকে আর কপালে চুমু ছুঁয়ে উড়নচণ্ডী।