• Uncategorized
  • 0

বিশ্ব কবিতা দিবসে সৌমিত্র চক্রবর্তী

কবিতা গুচ্ছ

১। মুখমুখানি

কোনো মুখ, মুখ থাকে অবোধ বিকেলে
সমান্তরাল লাইনে হেঁটে যায় সোজা,
মুখের মুখস্থ রেখা জলদাগ কাটে নিগূঢ়
যন্ত্রণার অস্ফুট পেনসিল স্কেচে।
ভাসানিয়া শ্রাবনের কূটকৌশলে
নদীও সমুদ্র হয়, সমুদ্র পাহাড়
মুখেরা হালকা হয়ে ছোট ছোট দ্বীপ
মুখেরা বিষাদবৃষ্টিতে শালতি নৌকা হয়।
মুখেদের ধূপছাঁও নগরীর কোলে
দ্বিধাগ্রস্ত তুমুল বর্ষণ ভেঙে দেয়
সান্ধ্যমায়ায় গড়ে তোলা নিবিড় কল্পনা
মুখ সব মুখ থাকে নদীর ওপারে।
কখনো জানলা কোনো খোলা থেকে গেলে
অবুঝ জলের ছাটে ভিজে যায় দৃষ্টিহীন শব
রোদের অপ্রতুলতায় নরক জাগলে
মুখ সব লুকোয় মুখোশ আড়ালে।

২। ভাসানের পরে

উচ্চকিত হাসি থেমে গেলে ঝপ করে লাফায়
শূন্যতা,
ফ্ল্যাশব্যাকে থইথই প্যান্ডেলে রঙের টুকরো
মিছিল,
চেয়ারের ভাঙাচোরা পায়া, উল্টানো হিসেবী ঘট
জলশূন্য,
এদিকে ওদিকে সিঁদুরের ফেলে আসা মোহময়
দাগ
ছিপিহীন জলের বোতল আর শুকনো আশা হারানো
আমপল্লব,
আলো খুলে নিলে সব আলো নিভে যায় বিবর্ণ
স্বস্তিকায়।

৩। কুকুরালি

– কেমন আছো নিস্পলক রেখায়? ভালো আছো?
– আছি। ভালো কিম্বা মন্দ বিচার এখন অশ্বত্থামা কান্ডের আদল পেয়েছে।
– এত বিষাদ কেন পারমিতা! সবে তো সকাল তরুনী!
– বৃষ্টি শুরু হলে সকাল বৃদ্ধা হয়, এমনকি বিদ্যুৎ চমকও অমিল।
– শহরের চৌমাথা ঘিরে, মফস্বলী গলিপথ জুড়ে আহত কুকুরের কান্না।
– কুচকুচে কুকুরেরা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে রক্তবীজ হয়ে, কাঁদন তো বাজবেই।
– এখানেই শুরু হয় ত্রাস। কাচ ভেঙে পড়ে অদেখা স্পর্শে। বাবুয়ানি অতীত ক্যামোফ্লেজে শরীর বাঁচায়।
– শ্মশানের পরিত্যক্ত চিতা উগড়ে দেয় আধপোড়া গলিত শব, মিথ হয়ে যাওয়া বিদেহী শৈশব দেহ খুঁজে ফেরে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।