দুঃখজল মাখামাখি আমার মোহানা থেকে নিজের বংশীদন্ডটি বের করে অন্ধকার গাছ বাথরুমের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে নিজের মনেই বললো এই কথা। বাতাসে তখন কলঙ্কসুবাস। মেঝের ওপর ঈষৎ বিষাদ মেখে চিৎ হয়ে শোয়া আমি আসিনি আজ, হলো না আমার। বলিনি কিছু ওকে।
কবিতার মধ্যে তো আরো কতই আওয়াজ। বালির বুকে আছড়ে পড়া ব্যভিচারিণী ঢেউ-এর ছলাৎ, সিগালের মসৃণ গ্লাইডিং-এর মৃদু সাউন্ড, টিনের চালে বৃষ্টিপাতের ঝমঝম উচ্ছ্বাস। মহসিন স্কোয়ারে বুড়ো ট্রামের বিষণ্ণ ঘন্টা, নিধুবাবুর টপ্পায় খাম্বাজ। ভরদুপুরে ফাঁকা ফ্ল্যাটের কামুক কলিং বেলও আছে। তাছাড়া একটু আগেই যে কমলালেবু চুষছিলে, সেই চুকচুক আওয়াজও গেঁথেছি, যেমন লিখেছি অস্থির হাতে হুক খোলার শব্দ। রাধাচূড়ার অমোঘ সুখগোঙানি, আছে তো তাও…
তুমি আসলে সেভাবে শোনোনি। ঢোকোনি অক্ষরগৃহে। কান পাতোনি দরজায়। এসব কবিতা ভীষণ শরীরী, ফাঁকিবাজি বা ভয়ারিজম অ্যালাউ করে না প্রিয়―
তন্ত্রসাধকের মত একবার কানের লতিতে জিভ ছুঁইয়ে নিও। দুঃখদ্রাঘিমা বরাবর ওপর থেকে নিচে সাঁতরে যাও, আরও সিডিউস করো, মধুবোঁটা কামড়াও। আঙুল দিয়ে কামরস তুলে চেটে খাও ইভ মেরিয়ামের মতো। জিভ দাও, ক্লিটোরাসতট করো আরক্তিম স্ফীত।
আঙুল ও জিভের যুগলবন্দি কবিতায় মিড় টেনে আনে, তুমি জানো না অন্ধকার?
ব্যথার ভাঁজ ক্রমে খোলে। নাভির ব্রহ্মকমল উন্মোচিত হয়। গভীর গুহার থেকে গোপন জল লাফিয়ে নামে।