যোগ-বিয়োগ
জন্মের পর এক একটি মুহুর্তের সংযোজনে,
জীবন গতি বৃদ্ধি পায়, জীবনচক্র এগিয়ে চলে।
এই সংযোজন, আসলে বিয়োজন জীবনের,
মুহুর্তেরা ক্রমে দিন-মাস-বছর হয়ে ওঠে,
ধীর গতিতে জীবনকে এগিয়ে দেয় মৃত্যুর দিকে।
কোনকিছু পেয়ে উল্লসিত হই, ভাবি সঞ্চয় হল,
কিন্তু, কিছু পাওয়ার আড়ালে থাকে কারোর দান।
হয়তো আমার চাওয়া-পাওয়া পূরণে,
কারো অক্লান্ত প্রচেষ্টা নিরন্তর জারি,
এতে লাভ হলেও, অন্যজনের ক্ষতিসাধনও তো হয়!
আমরা ভালোবাসায়ও কারণ খুঁজি,
সম্পর্কে স্বার্থ, লাভ, ক্ষতির হিসেব করি,
মুখে নিষ্পাপ, নিঃস্বার্থ হওয়ার বুলি আওড়াই,
পাওয়া, না-পাওয়ার অঙ্ক কষেই কাটিয়ে দিই জীবন,
তাই তো আদতে সেই শূন্যতা নিয়েই শূন্যে বিলীন হই।
ফিরে এসো
আমার সমাজ, আমার সময় আজ বিপন্নতার কবলে,
চারিদিকে শুধু ত্রাহি ত্রাহি রব, নৃশংসতার ছোবলে।
ভরসা করে ধরার মতো হাত খুঁজে না পাই,
নিজেকেও মানুষ ভাবতে লজ্জা হয় হামেশাই।
মানুষরূপী মুখোশের আড়ালে আজ নরপিশাচের অবয়ব,
তছনছ হয়েছে মনুষ্যত্ব, লুপ্ত আজ মানবিকতার বৈভব।
নাম কিনতে যোগ দেওয়া, সেবাব্রতী মানুষের সমাহারে,
আদপে,নির্বিকার, নিরুদ্বেগ,আর্ত- বুভুক্ষুদের হাহাকারে।
কোথায় তোমরা মহামানবেরা, কোথায় তোমরা বীর?
তোমাদের আদর্শ ভুলুণ্ঠিত হয়ে, বিকৃত ,চৌচির!
তোমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা আর গর্বের ভারতবর্ষ,
হারিয়েছে তার গৌরব, দেশবাসীরা আজ বিমর্ষ।
ফিরে এসো তোমরা, ফেরাতে ভারতের হৃতগৌরব,
বাঁচিয়ে তোলো মনুষ্যত্ব, ছড়িয়ে দাও মানবিকতার সৌরভ।