কালী কে? কালী আবার কে ঐ যে দেখো কালো ছাই মেখে সং সেজে দাড়িয়ে আছে। ও বেটি কালো ছাই বা মাখল কেন? কেন আর, বুঝলে না! যার সান্নিধ্যে এলে সৃষ্টির রূপ, রস, গন্ধ আর যা কিছু সব যে ভস্মীভূত , তা সে ছাই মাখবে নাতো আর কি মাখবে শুনি। ওহে কালী যে অনন্ত আকাশে কখনো নীলাভ, আবার অনন্ত মহাকাশে ঘনকালো এই রূপ তত্ত্বে বিরাজিত, আবার কখনও আশ্বিনের আকাশে পেজা তুলোর রঙে উদ্ভাসিত, আবার রামধনুর সাতটি রঙের মধ্যে বিলীন হন তাই তার সঠিক রং এর নির্ধারণ সম্ভব নয়। কখনও মাতৃরূপে পালনী শক্তি আবার কখনও তিনি সংহার রূপিণী। মহাকালের বুকের উপর পা রেখে যিনি প্রকৃতি সত্ত্বাকে সর্বদা উদীয়মান করে রেখেছেন আবার তারই সাথে রমণ করে পুরুষ রূপ প্রকৃতির একাত্মকরনে ব্রতী হয়েছেন! তিনি যে পুরুষের অন্তকরনীয় নারী শক্তি আবার প্রকৃতির পেশীশক্তিতে পুরুষ রূপে বিদ্যমান তাই তিনি না পুরুষ না প্রকৃতি। তার গলায় মুণ্ডমালা প্রত্যেকটি বর্ণের সমষ্টিগত রূপ, যে বর্ণ দ্বারা কোনো শব্দ তৈরি হয় এবং সে শব্দের দ্বারা কোনো বাক্যের সৃষ্টি হয় ও সেই বাক্য দ্বারা তত্ত্বের প্রতিস্থাপন হয় আর সেই তত্ত্ব দ্বারাই কালীকে অনুভব করা যায়। তিনি যে বেজে ওঠা ঢাক ও কাঠির সমন্বয়ে সৃষ্ট মধুর ধ্বনি, উনিই কৃষ্ণের বাশিঁর সাতটি সুরে বিরাজিতা। ঝর্ণার কলকল ধ্বনি যে তিনিই আবার যা কিছু দৃশ্যমান যা কিছু অদৃশ্যমান যা কিছু অনুভবীয় সবই কালী, জীবনের গতিছন্দ ধরে ধীরে ধীরে যিনি কালের সাথে মিলিত করান তিনিই কালী।