রবি অনেক গুলো সিগারেট খাওয়ার পর ঘড়ির দিকে তাকালো। না ! বেশ রাত হয়ে গেছে প্রায় ঘড়ির কাটায় দুটো বাজে। ভাবলো শুয়ে পড়বে কিন্তু হঠাৎ চেয়ার তার ওপর একটা জোরালো আলো রবির চোখ ধাঁধিয়ে দিলো। একই দেখছে সে? তার মতোই দেখতে একজন লোক। সাদা পুরো পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে। বললো রবিকে, “কি চিনতে পারছিস নাতো? এতো চিন্তা কিসের তোর?”
লকডাউন এ অফিস ব্ন্ধ? “রবি তখনো ঠাওর করতে পারছে না বেপারটা কি হচ্ছে। সেও উত্তর দিতে লাগলো, “হ্যাঁ দু মাসের মাইনে পাইনি কি করে কি হবে ভাবছি “মা মেয়ে বৌ ওরা তো ভরসা করে ”
আমি পাগল হয়ে যাবো মনে হচ্ছে “সেই শুভ্র কান্তি পুরুষ বললো, ভেবো না সব ঠিক হয়ে যাবে। “হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেলো রবির। বৌ চা নিয়ে এলো। বললো,”চা পাতা নেই, চিনি নেই, আর চাল তাও বেশ বাড়ন্ত “রবি ফ্যাকাশে মুখ নিয়ে বৌকে বললো, ” দেখছি”। ছোট্ট মেয়ে তুলি দৌড়ে এসে জাপ্টে ধরে রবি কে জাপ্টে ধরে বললো, “পাপা একটা চকলেট এনো আমার জন্য”
বড্ডো ভার ভার লাগছে মাথাটা তার
বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে দেখা যাক কি করা যায়। কিভাবে সংসার চলবে। যাই হোক হাতের আংটি টা বেচে কিছু টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলো জিনিস পত্র কিনে। আর ছোট্ট পিউ তার ছোট্ট হাত দিয়ে হ্যাপি ফাদার্স ডে লিখেছে। লিখেছে বেস্ট পাপা। এক ফোটা জল চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো পাপা লেখাটার ওপর।