• Uncategorized
  • 0

দৈনিক ধারাবাহিক গুলজারের কবিতা – অনুবাদে অর্ঘ্য দত্ত (পর্ব – ১)

অর্ঘ্য দত্তের জন্ম উত্তর কলকাতার বরাহনগরে। কর্মসূত্রে গত আঠাশ বছর মুম্বাইপ্রবাসী। লেখালেখি শুরু করেছেন অনেক দেরিতে, এই দশকের মাঝামাঝি। প্রথম ব‌ই, আত্মজৈবনিক গদ্য, 'বিখণ্ড দর্পণে আমি' প্রকাশিত হয় ২০১২-তে। এই বছরেই তার দ্বিতীয় ব‌ই, 'মি‌উজের বক্‌ওয়াস' প্রকাশিত হয়েছে। নানান পত্রিকায় নিয়মিত ছাপা হয় তার কবিতা, গল্প। সম্পাদনা করেন 'বম্বেDuck' সাহিত্য পত্রিকা।
(ভূমিকা – অর্ঘ্যর সৌভাগ্য হয়েছিল কিছুদিন গুলজারের সান্নিধ্যে থেকে তাঁকে একটি অনুবাদে সাহায্য করার। গুলজারের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার‌ও নিয়েছেন একটি নিউজ পোর্টালের জন্য। তা‌ঁর কবিতা বাংলায় অনুবাদের ইচ্ছা প্রকাশ করাতে তিনি অর্ঘ্যর হাতে নিজে তুলে দিয়েছিলেন তাঁর কবিতার সংকলন, ‘রাত পশমীনে কী’। সেই সংকলন থেকেই এখানে এক ডজন নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ।
অর্ঘ্য চেষ্টা করেছেন যতটা সম্ভব মূলানুগ থাকতে। গুলজার নিজে যেখানে প্রচলিত ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করেছেন, অনুবাদেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এমনকি কবিতার পংক্তি বিভাজন, পংক্তির দৈর্ঘ্য ও যতিচিহ্ন‌ও রাখা হয়েছে মূলানুসারী। অর্থাৎ, ব‌ইয়ের পাতায় ছাপা কবিতাটির ভিস্যুয়াল যেন এক‌ই থাকে সেদিকেও মনোযোগ দিয়েছেন অর্ঘ্য। কবিতা বেছে নেওয়ার সময় খেয়াল করেছেন যাতে গুলজারের কবিতার বিষয় বৈচিত্র্যটি ধরা পড়ে।
– মুখ্য সম্পাদক)

জিন্দানামা

এক রাতে লাহৌরের অলিগলি পেরিয়ে এসে চাঁদ
জেলের উঁচু পাঁচিলের ওপর চড়ে
ঠিক যেন ‘কমাণ্ডো’-র মতো লাফ দিয়ে ‘সেল’-এ ঢুকেছিল
এতটুকু শব্দ হয়নি পায়ের,
পাহারাদারেরা টের‌ও পায়নি!

শুনেছি নাকি ‘ফৈজ’-এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল
‘ফৈজ’-কে বলতে গিয়েছিল, একটা কবিতা বলো
সময়ের নাড়ি থমকে আছে!
কিছু বলো,
যাতে সময়ের স্পন্দন ফিরে আসে!!

( ‘ফৈজ’ হলেন কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজ, যাকে আমরা অনেকে ফয়েজ বলি। বামপন্থী এই কবি কারারূদ্ধ
ছিলেন।
‘জিন্দানামা’- ১৯৫৬-য় প্রকাশিত ফৈজ আহমেদ ফৈজ-এর একটি কাব্য সংগ্রহ। )

আগামীকাল থাকছে, সংশয়
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।