টেক টাচ টক এখন ওয়েব দুনিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। সাহিত্যের বিভিন্ন দিককে তুলে আনার ক্ষেত্রে খুব অল্প সময়েই নিজের অবস্থানকে চিহ্নিত করেছে সে।তার ভাবনাচিন্তার প্রতিফলন দেখি প্রায় প্রতিদিনই নানা বিভাগে নানান চিন্তায় । বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন তাকে অনন্য করে তুলেছে, আলাদা করে তুলেছে অনেকের থেকে। একশো দিন একটি স্মৃতি ফলক। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নেওয়া কতদূর পথ সে এল? কীই বা করল এই স্বল্প পরিসর সময়ে? প্রথমেই বলি একশো দিন খুব বেশি সময় নয়। তবু এর মধ্যেই বাংলা সাহিত্য নিয়ে যারা চর্চা করে তাদের প্রত্যেকের কাছেই সে তার আদর্শকে, তার ভাবনাকে তার কাজকে পৌছে দিতে পেরেছে টেক টাচ টক । এটা কম অর্জন নয়। আজকের তরুণ তরুণীরা, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা খুব উৎসাহিত বোধ করছেন এখানে লেখার জন্য। গর্ব বোধ করছেন। আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর যে সাহিত্য তা নতুন প্রজন্মকে আকর্ষন করছে।আমরা জানি যা তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষন করে তাই কিন্তু আগামীর স্বপ্ন অর্থাৎ তা বেঁচে থাকবে সময়ের সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে।
এই একশো দিনে পশ্চিংবঙ্গ এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ কবি এবং সাহিত্যিক এখানে লিখেছেন। ফলে বিভিন্ন স্বরের সমন্বয় ঘটেছে টেক টাচ টক । টেক অর্থাৎ প্রযুক্তি, টক মানে আলাপন। স্বরের ভেতর দিয়ে নিজস্ব মনোজগৎকে উন্মুক্ত করা। এভাবেই প্রযুক্তির সহায়তায় প্রত্যেকের অন্ত;স্বরকে আমরা স্পর্শ করছি টাচ করছি । এই অভিমুখেই পরিচালিত হচ্ছে তার কাজকর্ম।যারা কম বেশি তারা সবাই মিলেই একটি পরিবার। একান্নবর্তী পরিবার। এখানে কোন বড় নেই, ছোট নেই, মাঝারি নেই। সকলকে সাথে নিয়ে সমবেত ভাবে পাশাপাশি চলবার এক আত্মিক সমন্বয় আছে। ফলে এক একটি স্বরধ্বনি এখানে মিলেমিশে ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিনত হয়েছে। তার মানে এই নয়, যে সব স্বর মিলেমিশে হট্টগোলে রূপান্তরিত হয়েছে। নিরর্হক আওয়াজে পর্যবসিত হয়েছে। প্রত্যেকের নিজস্ব কণ্ঠের ধ্বনিময় সমাবেশ স্বত্তেও মৌলিক স্বরটি প্লুতস্বরে পরিনত হয়েছে। বহু দূর দূরান্তের মানুষের কাছে পৌছে যাচ্ছে তার অভিব্যক্তি। এভাবেই আমরা স্পর্শ করে আছি একে অন্যের হাত।
একশো দিনে টেক টাচ টকের যে ভূমিকা সেখানে আমার নিজের অংশগ্রহন থাকায় ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এই গৌরবের একজন দাবিদার। তিনটি গদ্য লেখার সুযোগ আমার হয়েছে এই কয়েকদিনের মধ্যে। ভালো লেগেছে বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া পেয়ে। যা থেকে বুঝতে পেরেছি টেক টক টাচ নিয়ে অনন্ত আগ্রহ আছে মানুষের। পাঠের আকুলতা আছে। পাঠক তৈরির ক্ষেত্রে এই সদর্থক ভূমিকা এবং সক্রিয় উদ্দীপনা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই অল্পদিনে।
এই সবে পথ চলা শুরু করেছে টেক টাচ টক । অন্নপ্রাশনের সময়ও এখনও অতিক্রান্ত হয়নি। তবু এর মধ্যেই নিজস্ব লক্ষ্য এবঙ্গভিমুখ সে তৈরি করে নিয়েছে। সেই পথ ধরে বৃহত্তর পাঠকের কাছে সে এগিয়ে যাবে। বিস্তৃত হবে তার ভৌগলিক মানচিত্র। স্বপ্নের কোন সীমারেখা নেই। আছে দীর্ঘতম পথের ইশারা। এই প্রত্যাশা নিয়ে সে এগিয়ে যাবে আগামীর দিকে।