এই একটি লাইন নিয়ে সমান্তরাল আগুনের ভেতর পা টিপে টিপে হাঁটছি, কেউ শুনে ফেললে বিপদ, এতদিন এক রকম ছিলাম নির্ঝঞ্ঝাট আঙুল চুষে চুষে, আগুন নেভার পরপরই সাম্প্রতিকতম হৃদয়ে টোকা দিয়ে যখন পৃথিবীর সামনে এসে দাঁড়ালাম তখন এই একই বাক্য নিয়ে দুটো কবিতা অন্তত লিখতে পেরেছি, লেখা শেষে সাদা একটি কাকের ডানা আমাকে উপহার দিয়ে গ্যাছে কিছু শ্বাপদ, জিগ্যেস করেছে এতো এতো জীবন নিজের কাছে জমিয়ে রাখায় বাহাদুরি কোথায়! আমি তাদেরকে বিজ্ঞের সুরে জানিয়েছি – মৃত্যুও একপ্রকার বিবর্তন!
পাতা ওল্টালাম, দেখি
অবলোকিতেশ্বর শাল পাতায় বসে মাটিতে খাচ্ছেন বিদেশী মুরগির দাওয়াত, বিবিধ সূঁচের মতো দেয়ালে ঢুকে যাচ্ছে আমাদের পিঠ, বরং যারা কাশ্মীর থেকে আমাজন থেকে কবিতা আমদানি করছে তাদের বুকের ওপর ফুলে উঠছে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় প্রকার বক্ষ, আমরা দ্বিখণ্ডিত করে দিচ্ছি সুডৌল চেতনার কারাসাজিতে কিংবা অন্য নামে ডাকছি দূর বাংলার কাশবনকে, দূর বললাম কারণ নির্জন নৌকায় চেপে সেখানে পৌঁছাতে বহু সাধ্য সাধনার প্রয়োজন আছে বৈ কি! তবুও কাঁটাতার ঘেরা এ-মরশূন্যতাকে পেল্লাই আপেলের নোনা বোঁটার কুঞ্চনে ঢুকিয়ে দিচ্ছি জোর করে সমুদ্রক্ষেত
মাথা খারাপ হয়ে যাওয়া বাদুড় এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, ওকে আমি সম্ভবত ঝাউবন থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম আর তার পরদিন ঘটেছিল কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঠিক বলা যায় না তবু গল্পের খাতিরে বলছি : ৯ই জুলাই সকাল ৫:৪৪ এ আমার ঘুম ভেঙে যায় মুতের চাপে, উঠেই দেখি তিনটে দোয়েল কাঁঠাল তলায়, পেয়ারা তলায় অল্প একটু ঘাস আছে সেখানে একটা ছাতারে পালক ফুলিয়ে আমার সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করছে অথচ ফোন নিয়ে ছবি তুলতে গেলেই ওরা পালিয়ে যায়, কুলতলায় দেখি ঘোড়ানিম গাছের খুব নীচু ডালটাতে একটা বুলবুলি বসে আছে, দেখি একটা গো-শালিখ কেঁচো জাতীয় কিছু ধরে লাফাচ্ছে লেবুছায়ায় অর্থাৎ সকালটা শুরু হলো পুরো পাখিদের নিয়ে, এতো সকালে কিন্তু কুবোপাখি দ্যাখা যায় না আজ দেখলাম সেও হাজির, তারপরও এটাকে আশ্চর্য বলব না, রোজকার সকালে একটা করে লাইন না এলে মনখারাপ হয়, তাই বলে রোজ যে আসে তা নয়, রোজ যে আমি মন খারাপ করি তাও নয়, তবুও রোজ সকালে কিছুটা পথ হাঁটতে হাঁটতে কত কত পাতা পেরিয়ে যাই, এখন কুলেখাড়া না কী যেন বলে লোকেরা রস করে খায় তাদের ওপর দিয়ে হাঁটছি, কত পথ নিজেও জানি না, সবই সবুজ লাগে, সব পথ একই