– ঝড় আমার ভীষণ প্রিয়।
– ইস! এমন অলক্ষুণে কথা কেনো বলো তুমি?
– ভালো লাগে তাই ভালো লাগে।
কিছুক্ষন চুপচাপ পুরোটা। তারপর আস্তে আস্তে চুমু বিনিময় শেষে এবার আবার অপেক্ষা।দিন শেষে বছর ঘুরলে হয়তো একবার দুবার ওদের নাটকীয় কথোপকথনের শেষে দুনিয়ার রূপ দেখার পালা। ওরা দুজনে সমকামী, আচ্ছা সমকামনা বলে কিছু হয় কি? শরীর দুটো পুরুষালী বা মেয়েলি হলেই সমকামনা হয়! আসল কথাটা হলো ঝড়। হ্যাঁ একটা ঝড় প্রয়োজন হয়। আয়লা বা লায়লা নামাঙ্কিত কোনো ঝড় যেমন উড়িয়ে নিয়ে যায় মালদা টাউনের ছাদ দমদমের হাওয়াই জাহাজখানায় তেমনই দেশ রাজ্যের সীমানা গন্ডি পেরিয়ে ওরা দুজন মিলে যায় কোনো পাশবালিশীয় যন্ত্রসঙ্গতে, না শুধু রাত কেনো! প্রতিটা ক্ষন ওরা জুড়ে থাকে গ্রহাণুকণার সাথে। এটাকে ঝড় ছাড়া কী বলা যায়-
– তোমার কথা বড়ো জটিল সাঁই। কিছুই বুঝি না।
শুধু চোখ মুড়লেই দেখতে পাই ছবির মতো।
– ছবি। ওই ছবিই তো সব-
– কিন্তু সে ছবি তো থাকে না সাঁই। ভেঙে যায়। আবার নতুন ছবি, আবার নতুন ছবি, আবার নতুন, আবাআ আআআআ-
শরীর টা ঘুমিয়ে পরে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত কিছু ছিঁড়ে ঠিক এক আঙুল ওপর দিয়ে হালকা হাওয়াটা বয়ে যাবে। সব কিছু শান্ত, ঠিক ঝড়ের আগের মুহুর্ত।
প্রচন্ড কান্নায় ভেঙে পরেছে ওরা। হ্যাঁ ওরা দুজন। না পাওয়ার আকুতি। রাজনীতি ছেড়ে বাস্তবের মাটিটা বোঝা যায় দূরত্ব বাড়লে। যে ফাটল গুলো মহীখাত হয়ে যায় সেগুলো পেরোনো যায় না, শুধুই ভেসে থাকা যায় কোনো একমুখী নৌকার উপর আর বারবার ঝড় এসে ওগুলো দুমড়ে মুচড়ে তছনছ করে দিয়ে চলে যায় । তবু ওরা হাসে, গান গায়, বুক পেতে নেয় কেঠো সম্বর্ধনা।
সম্বর্ধনা পেতে গেলে ঝোড়ো হতে হয়। তীব্র থেকে তীব্রতম ঝড়ের রাস্তার বায়বীয় খাবার বড়ো তামসিক খেতে, ছোটো বেলার জল ঢালা ভাতের মতো চেটেপুটে খেয়ে নেয় আর চোখের কোল বেয়ে ঝড়ে পরে ঝাল। লঙ্কা কিংবা কে জানে কার ঝাল। ঠিক তখনই ঝড় চায় ওরা।ওই যে তীব্রতম ঝড় – সাথি…
আসলে প্রেম টা একই থাকে শুধু বদলে যায় নামগুলো- ঝড় কিংবা বৃষ্টি…