পাড়ায় এক ভদ্রলোক নতুন এসেছেন।সকালে বের হন, রাতে ফেরেন।দড়জায় নাম লেখা জি ডি পদ্মনাভ।পড়শিদের ধারণা হয় ভদ্রলোক নিশ্চয় দক্ষিণ ভারতীয়।কিছুদিন পর বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় উনি খাঁটি বাঙ্গালি, নাম পদ্মনাভ ঘোষ দস্তিদার।নাম-ফলক সাজিয়েছেন নিজের মতন করে।আগে শর্টফর্মে পদবী পরে নাম।কয়েক সপ্তাহ পর নামফলকে সামান্য পরিবর্তন। নামের পাশে লেখা(এম.এ)।তবে এব্যাপারে কেউ সেভাবে মাথা ঘামান নি।মাস ছয়েক পর নাম-ফলকে আবার চমক।বন্ধনীর ভিতরে এবার লেখা বি.এ।স্বভাবতই কৌতূহল এবার চরম পর্যায়ে।
এক ছুটির দিনে ভদ্রলোককে রাস্তায় কৌতূহলী কয়েকজন পাকড়াও করেন। ভদ্রলোক হাতজোড় করে বলতে থাকলেন— নমস্কার, আমি পদ্মনাভ ঘোষ দস্তিদার। আমি ডিভোর্সী ছিলাম। আপনাদের এখানে এসে আবার বিয়ে করি সেজন্য নামের পাশে (এম-এ) লিখে বুঝিয়েছিলাম ম্যারেড এগেইন।এখন আবার বউ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে তাই লিখেছি (বি-এ),মানে ব্যাচেল্র এগেইন। বলতে পারেন রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট মেনে চলছি।
কৌতূহল বশে একজন বলেই ফেললেন – সে কি মশায়, আপনার মিসেস কে তো কোনদিন দেখতেই পেলাম না !আপনাকে ছেড়েই বা গেলেন কবে?
ভদ্রলোক স্মিত হেসে উত্তর দেন — সবার মিসেস কি সঙ্গে থাকে দাদা, অনেকের তো থেকেও নেই।