কবিতায় হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
চুম্বনযোগ্য
মানুষের খুব কাছে গেলে ফিরিয়ে নেয় হাত
সুন্দরী রমণীদের মতোই তাতে লেগে থাকে গ্লানি
অমীমাংসিত বহু প্রশ্নের ভিড়ে,কেঁদে উঠলো কে যেন দরজায়, নদীঘাটে ঠিক তক্ষুণি বাড়ে মনস্তাপ,তর্জনী তুলে যদি বলে কেউ কথা
সে কথার মাঝেও থাকে প্রাণ কিছুটা রসের ভিয়েন,সুরের আজান…
কখনো আকাশ দেখেনি যে পাতালে ডুবে যেতে যেতে উঠে আসে নতুন রূপে ভ্রূক্ষেপবিহীন
আমি তার কাধে হাত রেখে দেখেছি
এখনো গোপন গুহার ভেতরে লুকানো রয়েছে
মণিমুক্তো তবু মানুষের ভেতরেই একটা মানুষ রয়েছে বলে এখনো কিছুটা স্বস্তি…
বাকীটা আবর্জনা সংসার আসবাবে বন্দী
নির্জন নদীর ধারে কিংবা প্রান্তিক গাছের ছায়ায়
তখনই ঠোঁটে ঠোঁট চোখে চোখ রমণীর খোঁপায় কিছু ভুল ও বকুল সমেত চুম্বন সহজ হয়ে ওঠে
ফলনের যোগ্য হয়ে ওঠে ,চুম্বনযোগ্য জমি…