কবিতায় স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায়
by
TechTouchTalk Admin
·
Published
· Updated
মায়া
১।
কী প্রবল জড়িয়ে ধরলে ঈশ্বর!
তোমার বগলঅলিন্দ থেকে মৃগনাভিগন্ধ ভেসে যায়
আ লিটল ফল অব গ্রে ক্রপস
লটস অব কমেন্টস ঝরছে, যেন,
লাইক আ চাইল্ড দ্যাট হ্যাজ ক্রাইড অল নাইট
উচ্ছন্নে যাচ্ছি ওই ঘাম আর ফোড়ার দূষণে
পাহাড় পাহাড় বেআব্রু শরম ঢাকা দিচ্ছি
তুমি আরো জড়াচ্ছো নিখুঁত তিলের আকারে
২।
গোলাপি জিভ দাঁতের ধারালো চামড়ায় গোলকধাঁধা
গোঁফ বেয়ে নেমে আসা দৃষ্টির চুমড়ে নেওয়া ঘি
থাবাটি বেকালে নখের আড়াল থেকে ঘুড়ি ওড়ে রঙিন
এমন ঘুঘু তুমি এমন ঝাপট
এ বসন্ত শুরুতে পলাশের বনে বনে রক্তচূড়ার মতো
নেমে আসো হৃদয়ের মধুবনী পট থেকে
৩।
খাটের পা বেয়ে মৃত্যু উঠে এলো
ওকে খুব ম্লান লাগছিলো পুয়োর এবং থিন
গ্রামবাংলার ভাষায় বোলতে গেলে
থেলো হুঁকো ধোঁয়া ছাড়া
ঠোঁট বুজে আশ্ছে হে অচিন্ত্য রূপমহিমা
তবু দু’ই হাতে চেপে ধরছি সংসারডিঙি
ছেলের দূর্বাদল মেয়ের এয়োটি
ওই ছায়ার শান্ত ওই মায়ার বুড়বুড়ি
শালুক পাতার পায়ে ধাক্কা দিচ্ছে ছোট সোনাখরকে মাছ
ভান
জলের মধ্যে যে দিঘি দাঁড়িয়ে থাকে
তার কাছে যাই সে ভরন্ত চোখে
জিজ্ঞাসা রাখে আলুথালু ছায়া রাখে
পাড়ের শ্যাওলা ছোট পানা বায়বপত্র
জলের মুখের দিকে আকাশ ছুঁড়ে দেয়
ঘুন প্রেম কুম্ভ কিংবা কুমীর
চটজলদি ছিঁড়ে খাওয়া ব্যস্ততা
কেবল কথা রাখতে রাখতে কথার কাছেই
জমি রাখে বসত বানায় কলোনির আলো
এমন দিনে মেয়েরা গাছকোমর
ঠনকি চুড়ির চামচ পায়গোড় ছমক ছমক
দোরের কাঠে দাঁড়িয়ে ভ্রূ নাচায়