• Uncategorized
  • 0

কবিতায় রাজীব সিংহ

মাঘদুপুরের ইশারায়

একই সঙ্গে বড়ো হচ্ছিলাম৷ গায়ে গা৷ ডিসেম্বরের লম্বা ছুটিতে রঙবেরঙের উলের সোয়েটার৷ টবের চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, গাঁদা বা দোপাটির রাশি আমাদের ছাদ থেকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল৷ থানাপাড়া পেরিয়ে ছোটো রাজবাড়ি, বড়ো রাজবাড়ি৷ আমাদের হাতে দহনপর্বকালীন পোড়াগন্ধ, ছাইয়ের কালো দাগ লেগে আছে৷  ছুট ছুট অবিশ্রান্ত ছুট৷ ছুটতে ছুটতে যে কোনও ট্রেন কলকাতা অভিমুখী৷ ডাঁই করে রাখা খড়ের গাদায় বয়ঃসন্ধি৷ ঠোঁট ছড়ে গেলে বোরোলীন, আহা বোরোলীন! আহত শার্দুল, বালক কী বুঝেছিল মাঘদুপুরের অভিশপ্ত ইশারা! পাঞ্জাবী ধাবায় রুটি-তড়কা! বঙ্কিমচন্দ্রের এক্সপেরিমেণ্ট  ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমায়! রাত্রি গড়ায়  নির্জন অচেনা স্টেশনে৷ নকশাল আন্দোলন নিয়ে যারা বই লিখেছিল পরিযায়ী পাখিরা এসে লুকোয় তাদের আড়ালে৷ তুমি তাদের মাশরুম রান্না করে ভাত খাওয়াও৷ রামপুরহাট থেকে সাঁইথিয়া হয়ে একটি স্টিম-এঞ্জিন তোমাদের টেনে নিয়ে গিয়েছিল সাঁওতাল পরগণার সেই অচলিত গ্রাম থেকে, ছোট্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে৷ বাড়িতে, আত্মীয়স্বজনদের কুচকাওয়াজ থেকে যখন তুমি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিলে…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।