• Uncategorized
  • 0

কবিতায় পিয়াল রায়

লেখালিখি সেই কলেজ বয়স থেকে। মূলত কবিতাই সঙ্গী তবু গদ্যও লেখেন। প্রবন্ধ লিখতে ভালোবাসেন আর কবিতায় খুঁজে পান মুক্তির স্বাদ।

চোরাকারবার

থাক, বন্ধ থাক খাম
একটু ঘুরঘুর করি
একটু উশখুশ করি
সামনের জলা থেকে
রোদ নিয়ে মাখি বরং জমিয়ে রাখা গালে
বরং দড়ির ওপর হাঁটা ভাবতে ভাবতে
রুমালে তুলি ফুল কুমারী ডাঙার
তাড়া নেই কোনো
তাড়া নেই যে গাঙ্গেয় বাতাস
এখনই এসে ঢেকে দেবে মুখ
চামড়া এঁটে বসে থাকবে
দিনের কোলে জমজমাট যুবতী জীবন
আমার দিন তো এমনিই সাধারণ
না বলা কথার মতো
গড়াতে গড়াতে চলে যাবে যে দিকে দু’চোখ যায়
বহুদিন আগে এক পোড়ো জ্যোতিষীর কথায়
এসবই শুনেছিলাম সরযূর তীরে
তাড়া নেই তাই কোনো আর
পড়ে থাক এভাবেই খামের ভিতর
বন্ধ চোরাকারবার

কেঁচো

একটা মানুষ ভয় পেল
একটা,দুটো,তিনটে, চারটে ভয়
ভয় পেতে পেতে কেঁচো হয়ে গেল
মাটির নিচে পেতে বসল সংসার
সান্ত্বনা দিল নিজেকে এত
যে একসময় মনে হল এ সবই স্বাভাবিক
বহুবার বলা গল্পগুলো
সামান্য এদিক-ওদিক করে বলল আরো বহুবার
আর বিশ্বাস করল এরকমই ঘটে চিরকাল
একবার একটা মাকড়সা তাকে
কীভাবে বিরক্ত করেছিল সারারাত
আর সে ইষ্টমন্ত্র জপ করে কীভাবে
তাড়িয়েছিল তাকে
এ কথা ভেবে খুন হল হেসে
গর্তের ভিতর থাকতে থাকতে
শ্যাওলা গজালো গায়ে
পুরু হয়ে উঠল ভ্যাপসানো গন্ধ
তাতে গা গুলিয়ে উঠল ওর নিজেরই
মাঝেমাঝে রোদের কথা মনে পড়ল
মাঝেমাঝে মনে পড়ল ফুলের কথা
খোলা বারান্দায় রেখে আসা আনমনা আদর
ইচ্ছে করল
তবু সেসব পরোয়া না করে
গরমের অসুখ,শীতের ন্যুব্জতায়
গর্তটা সাজিয়ে তুলল যাচ্ছেতাই রকমের মানানসই
আর বেঁচে রইল  আধাআধি হয়ে

বিরহী

কত অচেনা চোখ তোমাকে দেখতে পায়
না চাইতেই কত অজানা ভিড় ছুঁয়ে যায় রোজ
একবার দেখব বলে আমি দাঁড়িয়ে থাকি
কত অচেনা চোখ আমাকে দেখতে দেখতে যায়
না চাইতেই কত অজানা ভিড় চলে যায় ধাক্কা দিতে দিতে
ঠান্ডা বাতাস কাঁপে
ধীরেধীরে হলুদ হয় দুনিয়ার বাগান
খসে পড়ে তামাম ফুল,
শীতের পাখি আসে অতীব রোগা গানহীন ফ্যাকাসে অচ্ছুৎ
আমি দাঁড়িয়ে থাকি রোজ ভয়ঙ্কর শীতে
স্থির সমুদ্রে সামান্য ঢেউ ওঠা দেখব বলে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।