• Uncategorized
  • 0

কবিতায় পহেলী দে

নিরানন্দের মৃত্যু মাড়িয়ে

এইভাবে বুকের জমিনে বুকের পাহাড় গুঁজে,
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে ঝড় তোলে,
ওষ্ঠশায়রে অধর চুবিয়ে
সাঁতার কাটবো মহাশূন্যে।
পেছন থেকে পথের ইশারা দেবে চাঁদ
মুখ টিপে টিপে হাসবে সূর্য,
অস্থির চোখে দেখবে সপ্তর্ষিমণ্ডল
একটি যুগলযাত্রার মহাকাল পরিভ্রমণ,
অন্ধকার ঝিলে ফোটা পদ্মফুল, গ্রহতারা
আদিগন্ত ফুটে অভ্যর্থনা জানাবে….
পলক পড়বে না পৃথিবীর চোখে,
তাকে পদতলে রেখে দুটি শালুক পরান উড়ে যাবে পালকবিহীন অনন্তলোকে।
কংস এবং সোমেশ্বরী প্রবাহ থামিয়ে
আশ্চর্যতর দৃষ্টিতে চেয়ে রবে
কবিতার অবয়ব ভেদ করে
উর্ধ্বগামী দুটি পঙতির দিকে
দু’কূলের জনমন নিমগ্ন থাকবে লোকালয় বিমুখ
উড়াল ডানার অতলে।
পাতালঘরে ঘুমন্ত বয়স্ক ঘড়ি জেগে উঠে
অপ্রকৃতিস্থ হবে ধাবমান শরীরী উড়াল দেখে,
নিরানন্দের মৃত্যু মাড়িয়ে
শুধুই ভেসে যাব মেঘে আর মেঘে
আলোকবর্ষ থেকে আলোকবর্ষে…
ঈশ্বরের বাড়িতে হৈচৈ পড়ে যাবে
ভেঙে যাবে ঈশ্বরীয় পাললিক অচেতন।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।