এ-হাতে আষাঢ় পর্ব, মনে মনে বিরহ কাতর ,
ও-হাতে ভেসে যাচ্ছে ঘন মেঘ , কার বাহুডোর,
স্রোতে স্রোত……………
কার মুখ আনন্দ উছল?
কে যেন দূরের থেকে হাত নেড়ে-
বলেছিল ,
যাই বলতে নেই। বল আসি ।
এমন সজল দিনে ,
পথে পথে , জলছাপে ,বিদ্যুৎবাহি !
খসে পড়া তারা যত-
অপরিচিত বেদনার মতো,
সুদূর-প্রবাসী….
কবিতা দুই
বিষাদ লগ্নে জাত ব’লে
বাবা আমায় পলাশ নামে ডাকে ,
মা হাঁকে, শিমু-উ-ল
বন্ধুরা ডাকে…বসন্তবৌরি….
মাষ্টারমশাই বলেছিলেন-
‘এই মেয়ে ‘স্বর্ণচাঁপা’ হবে বড় হয়ে ‘
জ্যোতিষ ঠাকুর বলেছিলেন ,
যেনতেনপ্রকারেন আমার অলিন্দ
যেন রোদ্দুর হয়ে থাকে ।
তারপর বিবর্ণ করেনি কেউ-
সাধ্যের বাইরে গিয়ে
সাজিয়ে দিয়েছে হলুদ সবুজ লাল …..
সেই থেকে বসন্ত হয়ে আছি।
কিন্তু ওরা জানেনা যা ,
ঋতু হাওয়া দিলেই আগুনে ওঠে ঢেউ !
পুড়ে-পুড়ে-পুড়ে-পুড়ে…….
ছাই হয়ে যায় আমার শিমুল আমার পলাশ !
বসন্ত আর বিষাদ যে পাশাপাশি ,
জানেনা জ্যোতিষ , জানেনা ওরা কেউ।।