ঝিরঝির বৃষ্টির মরশুমে যখন চারিপাশ থেকে ভেজা মাটির গন্ধ, আর ঝিঁঝিঁর ডাক শোনা যায় ;
একটিবার তোমার হাতটা ছুঁয়ে রাখতে চাই তোমার বুকে মাথা।
সেখানেই আমি খুঁজে পাই এই স্তব্ধ রাতের স্নিগ্ধতা,
সেখানে ধ্বনিত হয় আমারই নাম,
কখনো খুঁজে দেখি তোমায় সূর্যের প্রথম আলোয়,
খুঁজি তোমায় গোধূলি বেলায়,
খুঁজে বেড়াই তোমায় কোনো এক নীরব অনন্তরাতে.. সবখানেই সবটুকু জুড়ে অনুভব করি তোমার মায়াময় উপস্থিতি।
কখনো কোনো ব্যস্ত শহরের নাম না জানা গলিতে যদি হারিয়ে যাই, দেখবো সকল ভিড়ের মাঝে আমার হাতের সুতোটা তোমার হাতেই বাঁধা।
যতবার চাই নয়ন পানে, তোমার চোখের ওই ঐন্দ্রজালে আটকে পড়া যায় বারবার,
বারবার নিজেকে বেঁধে ফেলতে ইচ্ছে করে এক নতুন বাঁধনে।
শাজাহানের তাজমহল নয়, তুমি তোমার প্রতিটা ছন্দে বাঁধো আমায়, একটু একটু করে গড়ে তোলো তোমার স্বপ্নের ইমারত। যেখানে সমাধিস্থ নেই কোনোকিছু, শুধু প্রতিটি দেওয়ালজুড়ে আছে ভালোবাসার স্মৃতিচিহ্ন।
তোমার পরশে জাগে বাঁচার ইচ্ছা,
পৃথিবীর সকল সুখের হদিস মেলে তোমার নয়ন সাগরে, যেখানে ডুব দিয়ে তলিয়ে যেতে চাই অতল গভীরে।
কখনো আবার গড়েছো আমায়, সাজিয়েছো আমায়, আমার ‘আমি’র নেপথ্য কারিগর যে তুমিই।
ব্যর্থ ইতিহাসের পৃষ্ঠা ধুলোধরা, জীর্ণ বড়োই, নেই আজ তার কোনো অস্তিত্ব,
তুমি যে নিয়ে গেছো আমায় তোমার রুপনগরীর সাম্রাজ্যের রানী করে।
আজ তুমি আমার বিশ্বাস, তুমিই আমার গর্ব।
তোমার হাজার কথার ভিড়ে, ভেঙে গেছে সেই অচলায়তন পর্ব।।