সম্পর্কের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে গান । সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়া মাঠের চারপাশে ভেসে উঠছে কচি বালকের মুখ । আহত নিবেদন ।সবুজ ঘাসমাটি । সাথে মুখ লুকিয়ে নিচ্ছে কে ? নির্ভার এই মেঘখন্ডের কাছে জল চাইছে পাখি ।
গ্রীষ্মবাণ দেশ ।বাস থেকে নেমে দেখি বালিকার মুখ শুকিয়ে আছে ঝাউপাতার মতো , তাদের চুল উড়ছে বৈশাখের তপ্ত হাওয়ায় । হে রবীন্দ্রনাথ , আপনি ওদের চোখে প্রেম দিন । ওদের চুলে দিন বৈশাখের হলুদ ফুল । আলো দিন আঙুলের ডগায় ।
এ সবের সঙ্গে বালকটির কোনো সম্পর্ক নেই । সম্পর্ক ছিল না কখনো । হে রবীন্দ্রনাথ , আমি খুঁজে পাচ্ছি না মানুষের মুখ । শিশির ধৌত শীত ।দেখি উঠে আসছে বাবা- মায়ের ম্লান মুখ । শূন্যতা খচিত ছাত্রজীবন । জন্মান্ধ সন্তানের মতো গৃহশিক্ষকের হারিয়ে যাওয়া হাজার হাজার আকাক্ষাবিন্দু । মিলিয়ে যাচ্ছে বৈশাখের দুঃখময় জ্যোৎস্নায়
চোখ ফেরাতে পারছি না একটুকরো ভালোবাসার দিকে ।এই আবহমান বৈশাখ জন্মমাটির ওপর এঁকে দিচ্ছে জ্যোৎস্নার অধিকার । শিলাবৃষ্টির মুগ্ধ- মুখরতা ।শব্দ সাজিয়ে দিচ্ছি এই বৈশাখের দিনে । শব্দ মানে জেনো কান্না , নিসর্গ ছোঁয়া ফুল ।প্রতিটি হলুদফুলের ওপর আঁকা আশ্রমবালিকার চোখ , তার কথা বলার ভঙ্গী ।
এই বাঁশবন ।
এই ইছামতীর বালি
শান্ত নদীজল
দুপুরের দোদুল্যমান নৌকো
সুর থেকে সুরে হে রবীন্দ্রনাথ , আপনি বলে দিলেন : নীরবে হৃদয়ে থাকার কথা
পাখি উড়ছে । উড়ছে বৈশাখের ধুলো । শাল – পিয়ালের জঙ্গলের ভিতর জ্বলে উঠছে আগুন । সেখানে এক উদাসীন বাউল- যুবক নির্জনতার পাশে বসে আছে স্থির । এক মনছুট রাখাল