“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য
by
·
Published
· Updated
সামাজিক ভাবনা আর রবীন্দ্রনাথ
একটা ছোট্ট গল্প বলি।
লাল ফৌজের এক সৈনিক যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি গ্রামে ফেরার পর বাড়িতেই থাকতে হচ্ছিল। আবার এসে গেল ৭ নভেম্বর।
পাড়ার লোকেরা লাল ফৌজের সেনার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, কি ভাবে বিপ্লব দিবস পালন করা যায়।
পরের দিন সেই সৈনিক সবাইকে ডেকে বললেন, পাড়ার এই বদ্ধ জলার মশার জন্য লোকজন ম্যালেরিয়ায় ভুগছেন। নানা রোগ হচ্ছে। বর্ষার জল জমে থাকে। আসুন, নভেম্বর বিপ্লব দিবসে আমরা সেই জলাটা সাফাই করে মানুষকে সুস্থভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করি। নভেম্বর বিপ্লব তো মানুষকে ভালভাবে বাঁচার অবকাশ দেওয়ার জন্যই।
গল্পটা বললাম এই জন্য যে, আমরা রোজই কেউ না কেউ ফেসবুক লাইভে কবিতা পড়ছি। কয়েকজন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেদের আর অন্যদের কবিতা পড়ছেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনেও হয়তো সেটাই করা হবে।
কিন্তু, রবি ঠাকুর তো শুধু কবি নন, তিনি দার্শনিক, জিনি নিজের দর্শনকে শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতনের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছেন।
এখন করোনার প্রকোপে মানুষ শঙ্কিত। অনেকে খেতে পারছেন না। মানুষ নিজেদের উদ্যোগে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, খাবার খাওয়াচ্ছে। চাল ডাল তেল আলু সবজি প্যাকেটে দিচ্ছেন।
এই সমাজসেবাটাও রবীন্দ্রনাথের কাজ। গ্রামোন্নয়ন, গ্রামবিকাশ কর্মসূচির কাজ। প্রায় প্রত্যেক পাড়াতেই এই কাজ হচ্ছে।
কেমন হয়, আমরা যদি নিজের নিজের এলাকায় এমন কাজের ছোট ছোট ভিডিও বা খবর রবি ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেদিন লাইভে শেয়ার করি!?
এত এত ভাল কাজ, প্রচারও তো করা উচিত।