• Uncategorized
  • 0

অনুবাদ কবিতায় শৌভিক দে সরকার

নব্বইয়ের দশকের কবি ও অনুবাদক। জন্ম ১৯৭৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে। ‘একটি মৃদু লাল রেখা’, ‘যাত্রাবাড়ি’, ‘দখলসূত্র’, ‘অনুগত বাফার’, উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। অনুবাদ করেছেন ‘রবের্তো বোলানিওর কবিতা’, ‘খুলিও কোর্তাসারের কবিতা’, সদত হসন মণ্টোর ‘স্যাম চাচাকে লেখা চিঠি’, ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকার নাটক ‘বেরনার্দা আলবার বাড়ি’, ‘রুদ্রমূর্তি চেরানের নির্বাচিত কবিতা’,‘নামদেও ধাসালের কবিতা’।

মার্টিন এস্পাদা

১৯৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন লাতিনো কবি মার্টিন এস্পাদা। ১৯৮২ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দা ইমিগ্রান্ট আইসবয়’স বোলেরো’ প্রকাশিত হয়। ‘সিটি অফ কাফিং অ্যান্ড ডেড রেডিয়েটরস’,‘আলাবাঞ্জা’, ‘দা রিপাবলিক অফ পোয়েট্রি’, ‘ভিভাস টু দোজ হু হ্যাভ ফেইলড’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। পুয়ের্তোরিকোর বিভিন্ন অনুষঙ্গ উঠে আসে এস্পাদার কবিতায়। দীর্ঘদিন আমেরিকায় বসবাসকারী সংখ্যালঘু লাতিনো শ্রমিকদের অভিবাসনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ম্যাসাচুসেটস-আমহারস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন মার্টিন এস্পাদা। ‘রবার্ট ক্রেলি এ্যাওয়ার্ড’, ‘প্যাটারসন পোয়েট্রি প্রাইজ’ পেয়েছেন তিনি।‘পুলিৎজার প্রাইজ’ এবং ‘ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক্স সার্কল অ্যাওয়ার্ড’- এর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

মার্টিন এস্পাদার কবিতা 

চার্চের পাহারদার জর্জ, যে কাজ ছেড়ে দিয়েছিল  

কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করত না যে
আমার বাড়ি কোথায়
সবাই মনে করতে
আমি পাহারাদারদের দেশ থেকেই এসেছি,
আমি চুপচাপ শুধু মেঝেটা মুছতাম
হন্ডুরাস, শহরের বাইরে
রিফুজি ক্যাম্প
ওরা শুধু এটুকুই বুঝত।
কেউ আমার নামটা
ঠিক মতো উচ্চারন করতে পারত না
আমি বাথরুমের ভেতরেই
যাকিছু ফুর্তি করতাম
কমোডটাকে সুপের বাটির মতো নাড়তাম
আমার নামের মধ্যে যে স্প্যানিশ গান
লেগে থাকত সেটা উবে যেত
যখন অতিথিরা টয়লেট পেপার নিয়ে
অভিযোগ করত।
ওরা যেটা বলত
সেটা অবশ্য সত্যিই ছিল
আমি সব বুঝতে পারতাম
কিন্তু আমার স্বভাবটা ভালো ছিল না
কেউ জানত না যে
আমি আজ রাতেই কাজ ছেড়ে চলে যাব,
ঘর মোছার ন্যাকড়াটা
একা একাই মাথা খারাপ হয়ে যাওয়া
জলশামুকের মতো
ছাই রঙের দাঁড়া বের করে
মেঝেটা শুঁকতে থাকবে
আর সবাই ওটাকে ‘জর্জ’ বলে ডাকবে!

আমার নিজস্ব পোশাক  

শহরের স্কুলের মাস্টারমশাই
বললেনঃ
আপনি যেদিন আবার আসবেন
আপনাদের নিজস্ব পোশাকটাই
পরে আসবেন।
কিন্তু আমি তো একজন উকিল!
আমি অবাক হয়ে বললাম
আর আমার নিজস্ব পোশাক হল
পিন স্ট্রাইপ দেওয়া স্যুট।
মাস্টারমশাই বললেনঃ
আমি আপনাদের পুয়ের্তোরিকানদের
পোশাকের কথা বলছি।
মানে গুয়াবেরা? শার্ট?
কিন্তু এখন তো ফেব্রুয়ারি মাস,
আমি বললাম।
বাচ্চারা আপনাদের
পোশাক দেখতে চায়,
মাস্টারমশাই বললেন।
তাই পরদিন
আমি এম্ব্রডেয়ারি করা গুয়েবারা
আর একটা টার্টল নেকের ওপর
হাফ শার্ট পরে শহরের স্কুলটাতে গেলাম
আর বাচ্চাদের বললাম,
দ্যাখো, এটাই সাংস্কৃতিক অভিযোজন।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।