ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সোশ্যাল বা জিওগ্রাফিকাল ডিস্টেন্স বা কোয়ারান্টাইন কিংবা লকডাউনে কি কিছু এসে যায়!ডিস্টেন্স ডিস্টেন্স ডিস্টেন্স শুনতে শুনতে কান পচে গেল। এই ডিস্টেন্স আমরা মানি না। সত্যি বলছি, এই ডিস্টেন্স শুনতে শুনতে নিজেরা কীরকম দূরে আরো দূরে চলে যাচ্ছি কোন অতলে কে জানে!তাই কোয়ারান্টাইনে থেকে আমরা ডিস্টেন্স ভাঙার সামান্য একটা চেষ্টা করছি ভার্চ্যুয়ালি।
আমরা তো চাই সব পাখি এসে বসুক আবার একটি ডালে, আমরা তো চাই সব পথ এসে মিলুক একটা জায়গায়, আমি তো ব্যক্তিগত ভাবে চাই, সাহিত্যে গোষ্ঠী নয়, ধান্দাবাজি নয়,সৃষ্টিই হোক মাপকাঠি। বাংলা সাহিত্য বিশ্বসাহিত্যের আঙিনায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ালে আমরা সকলেই গর্বিত হবো। বিশ্ব কবিতা দিবসে আমরা ১০৮ জনের কবিতা প্রকাশ করতে পেরেছি।১ বৈশাখের অণুগল্প সংখ্যায় আমরা ১২৮জন লেখকের গল্প রাখলাম।সেগুলিকে দুদিনে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমদিন থাকছে ৭১ জনের ও পরের দিন আরো ৫৭জনের গল্প থাকবে।সবাই কবিতা লেখেন বলা কি আর তাতে থামবে! লেখকদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আপনারা চেনেন কবি হিসেবে, কিছুজনকে হয়তো চেনেনই না!হ্যাঁ, এবারই আমাদের আহ্বানে তাঁরা প্রথম গল্প লিখেছেন, আপনাদের জন্য।সব গল্পকারের গল্প পড়ে দেখবেন অবশ্যই।
সময়ের হিসেবে খুবই স্বল্পদিনের ইতিহাস আমাদের। এই তো গত ২০১৯-এর ১৫ আগস্ট থেকে আমাদের পথচলা শুরু।একটা ছোট্ট চারাগাছকে চেষ্টা করেছি বড়ো করে তুলতে।আজ সেই চারাগাছ ডালপালা মেলে দিয়েছে।ইতিমধ্যেই টেকটাচ টককে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার হিসেব বোধ হয় গুগল জানে!তা যা পারে হোক! আপনাদের প্রশ্রয়,ভালোবাসায় আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে।আমরা সকলে মিলেই একটা চেষ্টা করছি,আর এই চেষ্টায় সবসময়ই চেয়েছি আপনাদের পাশে পেতে।আমাদের সকল শক্তি ও সাহসের সহায় তো আপনারাই। আমরা তাই বারবার আবেদন করেছি, সঙ্গে থাকুন। বলেছি,’সঙ্গে থাকুন লিখতে থাকুন পড়তে থাকুন’।ভালোলাগা লেখাগুলি শেয়ার করে অন্যদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন।
বাংলা নতুন বছরের প্রথমদিনে আপনাদের সৃজন, আপনাদের অণু ও ছোটগল্প প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।আমাদের আমন্ত্রণে যাঁরা লেখা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সশ্রদ্ধ নমস্কার জানাই। ব্যক্তিগত ভাবে সকলের কাছে অশেষ ঋণী রইলাম।সকলের লেখা প্রকাশ করতে না পারার দুঃখ থেকে গেল।লিখুন আপনারা আরো।
তিনশো শব্দের কম, তিনশো শব্দের বেশি ও ছোটগল্প দিয়ে আমাদের এই অর্ঘ্য নিবেদন করলাম। বেশ কিছু গল্পে এই সময়কে ধরা হয়েছে।প্রিয় পাঠক প্রত্যেকের গল্প আপনারা পড়ুন, মতামত দিন,লাইক অপশনে গিয়ে লাইক করুন, কমেন্টে গিয়ে সমালোচনা করুন। লেখকের ঈশ্বর তো পাঠক! লেখার মান নির্ধারণ তো তারাই করবেন।আমরা কে,ভালো মন্দ বলার!
নতুন বছরে কিছু শুভবার্তা আসুক।জীবনে সুখ না হোক শান্তি আসুক। বিলম্বিত দুর্গাপূজার আগেই আবার জীবন ঝিনচ্যাড়াক্কা নাচুক। ভালো থাকবেন সকলে। আমাদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল সবদিন।