–liveslot–situs(enakcuan) – অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় অতীন দাস
by
·
Published
· Updated
পাকা দেখা???
একান্তে কথা বলতে ইচ্ছুক দেখে পাত্রীর বাবা, ভাই, মাসি, মেসো ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন রুমের বাইরে চলে গেল। আমি শেষ রসগোল্লাটা মুখে চালান করে আঙ্গুল চাটতে চাটতে দরজাটা বন্ধ করলাম। ভালোভাবে দেখে নিলাম দরজায় ফুটো টুটো আছে কিনা। নইলে তো আবার উঁকি ঝুঁকি মারবে। উঁকিঝুঁকি মারার কথায় মনে পড়ে গেল হোস্টেল লাইফের কথা। ফিজিক্স টিচার উৎপলবাবু আমাদের সাথে হোস্টেলেই থাকতেন। একদিন নতুন বউ নিয়ে এসেছিলেন। বউ অল্পবয়সী। দেখতে সুন্দরী। ছেলেছোকরারা দেখে পুরো টানটান। রমেশের কৌতুহল সবচেয়ে বেশি ছিল। পা টিপে টিপে গিয়েছিল স্যারের দরজার কাছে। একটা ফুটোতে চোখ লাগিয়েছিল। তারপর বিষম চিৎকার। আমরা সব ছুটে গেলাম। দেখি রমেশ মুখ ঢেকে বসে আছে। কাতরাচ্ছে। দরজা হাট করে খোলা। উৎপল বাবু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে একটা নারকোল ঝাঁটার কাঠি। রমেশের চোখটা আর ভালো হয়নি। ঘটনাটা মনে পড়লে রমেশের রক্তমাখা লাল চোখের দৃশ্যটা ভেসে ওঠে। শিউরে উঠি। যাইহোক পাত্রীর বাড়ির দরজায় ফুটো নেই। একদম লক্ষ্মীন্দরের বাসরঘর যেন। আমি চটপট জামাপ্যান্ট খুলে ফেললাম। পাত্রীর দিকে আদুরে দৃষ্টিতে তাকালাম। সে তখন বিস্ফারিত চোখে আমার কাণ্ডকারখানা দেখছে। মুখটাও বোধহয় হাঁ হয়েছিল। হাত ঢেকে রাখায় বোঝা যাচ্ছিলনা। অবশ্য আমার এত বোঝার সময় ছিলনা। একান্তে অনন্তকাল সময় তো কাটাতে দেবেনা কেউ। একটু পর নিশ্চয়ই খটখট করবে। দরজা না খুললে আবার করবে। শেষে পাড়া প্রতিবেশী, পুলিশ ডেকে দরজা ভাঙ্গবে। সময়ের বড় অভাব। মানুষের ধৈর্যেরও। তা হবু বউকে পেড়ে ফেললাম বিছানায়। চিৎকার করতে চায় ভেবে ন্যাকড়াও গুঁজে দিলাম হাঁ মুখে.. ধেবড়ে গেল লিপস্টিক। লিপস্টিক কেন লাগায় মাগীরা? এতে ক্যানসার হয়। সে বিড়ি খেলেও হয়। এই যে আজীবন বউয়ের সামনে বিড়ি টানবো,প্যাসিভ স্মোকিং এই মরে যাবে শালী। দেখতে আসার আগে দুখানা টেনে এসে মধু সুপারি মেরে এসেছি…
“নাহ… ” হবু বউ আমার হাত ছাড়িয়ে কখন ন্যাকড়াটা মুখ থেকে বার করেছে আমি দেখিনি। যৌন একাগ্রতা চুড়ান্ত পর্যায়ে উঠলে আর কিছু দেখা যায়না । হবুর না শুনে একটু থমকালাম। নিশ্চয় কিছু বলতে চায়। বলো, বলো সুন্দরী বলো।
-এরম করোনা প্লীজ। গুমরে উঠলো হবু আমার।
-কেন গো?
-না। ঠিক নয়।
-সেটাই তো জানতে চাই কেন ঠিক নয়?
-বিয়ের আগে এসব?
হা হা হা হা বেশ জোরেই হেসে উঠলাম। হাসির দমকে আমার শরীর আরেকটু চেপে ধরলো হবুকে। ওর নাকের ঘাম আঙুলে মুছে বললাম
-ওহ খুকী, এটা তো সবে প্রিম্যারিটাল রেফ গো। অভ্যেস হয়ে যাবে।
গ্রাম্য সোজাসরল মেয়ে ইঞ্জিরি জানেনা। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল আমার দিকে। অভ্যেসই সব। অভ্যেস করে নিতে হয়।