• Uncategorized
  • 0

অণুগল্পে সোমনাথ বেনিয়া

নুড়ি

একটু দূরে মোড়। সেখান থেকে পাহাড়ের গা ঘেঁষে উঠেছে রাস্তা। বেশ খাঁড়া চড়াই। তার মধ‍্যে রাস্তার চটা উঠে এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। পাশে আবার খাদ। খাদের মধ‍্যে পাহাড়ি নদী। উঁচু জায়গা বলে জলের রেখা বলে মনে হয়। কিন্তু গন্তব‍্যে কী পৌঁছাতে পারবে সে! সে তো পাহাড় ভালোবাসে। পাহাড় তার কাছে জীবনের মতো রহস‍্যময়। সত‍্যিই রহস‍্যময়, না হলে যাকে সে ভালোবাসে, সেই পাহাড় কিনা এক দুর্ঘটনায় তার এক পা কেড়ে নিলো! এখন এই ক্রাচে ভর দিয়ে আর‌ও একবার পাহাড়ি রাস্তায় ওঠার প্রচেষ্টা। যদি উঠতে গিয়ে ব‍্যালান্স হারিয়ে পড়ে যায়। তাহলে গড়িয়ে সেই একদম খাদের নিচে পাহাড়ি নদীতে। কোনো চিহ্ন থাকবে না।
সে কিছুক্ষণ ভাবে। স্থির করে পথ ধরে উঠবে আর একান্ত‌ই দুর্ঘটনা ঘটলে সেই নদীর বুকে নুড়ি হয়ে গড়াগড়ি খাবে! অন্তত অনাথ আশ্রমে মানুষ হ‌ওয়ায় বাধ‍্য হয়ে কতৃপক্ষের সঙ্গে এক বিছানায় যখন-তখন গড়াগড়ি খাওয়ার থেকে তো সে মুক্তি পাবে …
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।