ইদানীং শিপ্রার বুক ধড়ফড় করে। বিশেষ করে যখন ফোন আসে। চাহিদার সঙ্গে প্রত্যাশার ভীষণরকম সম্পর্ক থাকে বলেই হয়ত মানসিক আতঙ্ক তৈরি হয়! শিপ্রার ক্ষেত্রে এরকমই ঘটেছে যখন থেকে রবিনের সঙ্গে তার ব্রেক আপ হয়েছে। ঘটনাটি কেউ জানে না ওরা দু-জন ছাড়া। তাই অন্যধরণের এক্সকিউজ দিয়ে শিপ্রা বাড়িতে বলে রেখেছে তার ফোন যেন কেউ না ধরে।
তার বুকের ধড়ফড়ানি বেড়ে যায় যখন ফোনে মিসড্ কল দেখে। রবিন নয় তো! সে রিং ব্যাক করে। দেখে স্প্যাম কল। আগে স্প্যাম কল ইগনোর করতো। কিন্তু এখন ডিজিট দেখে স্প্যাম কল চিনতে পারলেও রিং ব্যাক করে। যদি রবিনের ফোন হয়! মনে আশার প্রদীপ এখনও জ্বলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম কল সে পেয়েছে। গোল্ড লোন, বাড়ির লোন, গাড়ির লোন ইত্যাদি। কিন্তু সেই কল কোথায়?
এখন শিপ্রার বুক ধড়ফড় করলেও কোনো অচেনা মিসড্ কলে রিং ব্যাক করে না কারণ সে বুঝতে পেরেছে রবিন তার জীবনে আজ অপ্রাসঙ্গিক। তবুও সে ভাবে কিছু ক্ষেত্রে বাঁচতে গেলে অনেক সময় একটি স্প্যাম কলের ভীষণ প্রয়োজন হয় …