পাশে শোয়া বিপাশা ধড়ফড় করে উঠে বসল, শি ইজ ক্যারিং,ন’মাস, হেভিলি প্রেগন্যান্ট ৷ বাড়ির লোক খুব বিপদে না পড়লে এসময় ফোন করবে না ….নাকি অন্য কেউ ?
রাকেশ আর্তনাদ করে ওঠে ! “কী বলছিস প্রকাশ?” বিকেলেও তো দেখা হ’ল ! এটুকু সময়ের মধ্যে ! ফাউল প্লে আছে ভাই ! বালি মাফিয়ার খবরটা করার পর থেকেই থ্রেট আসছিল …. ওকে চুপ করিয়ে দিল …” ফোন রেখে হাহাকার করে ওঠে রাকেশ ৷
ছোটবেলার বন্ধু এবং কলিগ সঞ্জয় কে রেললাইনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে ছেলেটি হঠাৎ করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিল৷
পাশের ঘরে বিপাশা পাথর হয়ে বসে থাকে ৷ বিয়ের আগে থেকেই সাংবাদিক সঞ্জয় রায়ের সাথে আলাপ হয়েছিল, বন্ধুত্ব হতেও সময় লাগেনি ৷ গতবছর মুহূর্তের ভুলে ….কাকপক্ষীতেও টের পায়নি কিছু,এমনকি রাকেশ ও নয়, এ কী হয়ে গেল ! অজান্তেই দুটো হাত পেটের ওপর জড়ো হয়ে থাকে !