Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || লক্ষ্মী পুজো || সংখ্যায় আল্পি বিশ্বাস

maro news
T3 || লক্ষ্মী পুজো || সংখ্যায় আল্পি বিশ্বাস

কোজাগরী পূর্ণিমায়

কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। রাত্রে কোজাগর কৃত্য। নারকেল দিয়ে চিপিটক ভক্ষণ, নারকেল জল পান। অক্ষক্রীড়া দ্বারা রাত্রি জাগরণে ধনবৃদ্ধি। আজই পূর্ণিমার নিশিপালণ। গোস্বামী মতে শ্রী শ্রী কৃষ্ণের শারদ রাসযাত্রা। এই দিনে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত আকালিপুর গ্রামে গুহ্যকালী পূজানুষ্ঠান ও মেলা হয়। মালদহ জেলার মানিকচক থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে মেলা ও বামনগোলা থানার গোবিন্দপুর গ্রামে লক্ষ্মীতলায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষ্যে মেলা। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার ভক্তিযারাডাঙ্গী গ্রামে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষ্যে তিন-চারদিন ব্যাপী মেলা বসে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারারাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষত্ব। “নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী। তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।।" কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কি কি লাগে ... ১)ফুল,২)দূর্বা, ৩) চিঁড়ে, ৪)নারকেল, ৫)তালের ফোঁপরা, ৬)আতপচালের নৈবেদ্য,৭) আতপচালের পিটুলি দিয়ে আল্পনা (লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ, ধানের শীষ, পদ্ম, টাকা, মই, পেঁচা, শঙ্খলতা), ৮)ধূপ, ৯)ধূনা, ১০) ঘিয়ের প্রদীপ, ১১) পঞ্চপ্রদীপ, ১২) কর্পূরের প্রদীপ, ১৩) সশীষ ডাব, ১৪) কলা/হরিতকী,১৫) পঞ্চশষ্য ১৬) ঘটের নীচে মাটি, ১৭) ধান, ১৮) ঘটে মালা, ১৯) লক্ষ্মীর পটে মালা, ২০) সুপারি, ২১) ঘৃতে গুলানো সিঁদূর, ২২) পিতলের ঘট/ মাটির ঘট, ২৩) গঙ্গাজল, ২৪) রচনা - মাটির হাঁড়িতে, পাথরের বাটিতে বা পিতলের মালসাতে মুড়কি ও নারকেলের নাড়ু, ২৫) আসনে পাঁচরকম ফল, ২৬) আসনে পাঁচটা বৃন্তসহ পান, ২৭) আসনে পাঁচটা গোটা সুপারি, ২৮) ধানের ছড়া, ২৯) পাঁচটা ধান ভর্তি ডোল, ৩০) ডোলের ভেতরে টাকা পয়সা সোনা রূপো কড়ি, ৩১) শোলার কদমফুল, ৩২) ফুলের মালা। নিষেধ : ফুল ছিঁড়ে ব্যবহার, ঘন্টা বাদ্য। নৈবেদ্য সাজাতে হয় গনেশ, লক্ষ্মী-নারায়ণ, পঞ্চদেবতার নামে। পূজাপদ্ধতি : জলশুদ্ধি, আচমন, পুষ্পশুদ্ধি, আসনশুদ্ধি, এরপর যথাক্রমে সিদ্ধিদাতা গনেশ, শিবাদি পঞ্চদেবতা, নবগ্রহ, ইন্দ্রাদি দশদিকপাল, নারায়ণ, গুরুদেব, সর্বদেবদেবীকে স্মরণ করে পুজো করতে হয়। এরপর হাত জোড় করে আরাধ্যা দেবী লক্ষ্মীর আবাহন করতে হয়, এরপর মা লক্ষ্মির ধ্যান, স্তব, গায়ত্রী মন্ত্র জপ, সংকল্প, নিবেদন, নারায়ণের ধ্যান, নারায়ণের প্রণাম মন্ত্র, আরতি(ঘিয়ের প্রদীপ, ধূপধুনো, পঞ্চপ্রদীপ, জলশঙ্খ,বস্ত্র, চামর,) ক্ষমা প্রার্থনা, সবশেষে দেবী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি ও প্রণামমন্ত্র। লক্ষ্মী ও কৃষ্ণের অষ্টোত্তরশতনাম পাঠ, দুর্বা হাতৃ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ব্রতকথা পাঠ।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register