Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় আকিব শিকদার

maro news
কবিতায় আকিব শিকদার

১। কোনোদিন আর ভুল হবে না

কোনোদিন আর ভুল হবে না, আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না। এই কান ধরে বলছি গো, মাথা ছুঁয়ে বলছি- আপনার পথের দিকে আর চেয়ে থাকা হবে না।
আর কোনোদিন আমি তাকাবো না আড়চোখে, আপনি যতই পরে আসুন নতুন শাড়ি। কপালের টিপ যদি ভুল করে অস্থানে হয়ে যায় ইশারায় আর আমি দেখাবো না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না।
আপনি যদি আমাকে রেখেই চলে যান চুপিচুপি, চলে যান কবিতা পাঠের আসর ছেড়ে। এই মাটি খেয়ে বলছি গো, কিড়া কেটে বলছি- আর রাগ করে আমি মুখ ফোলাব না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না।
আমি তো কারো টাকাতে কেনা গোলাম নই, নিজেকে দেইনি বেচে অন্যের হাতে। কেন আপনারে ভেবে বৃথা হই উচাটন- এই মন আর কারো মনোমত চলবে না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না।

২। চোখ তেড়া

মহাত্মা গান্ধী করেছিলেন তেরোবছর বয়সে, শেখ মুজিবকেও আঠারোতে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। আর রবিঠাকুর...? সে যুগের সবাই কমবেশি মুকুল ধরতে না ধরতেই বয়সী বকুল। দাদারা ভারি কাচের চশমায় পড়তেন সংবাদপত্র। কোথাও ধর্ষণ নেই, শব্দটা অভিধানে ছিল না নাকি...! বউকে কুপিয়ে তিনারা এতটাই ঘেমে যেতেন যে ধর্ষণ করার সুযোগই জুটেনি ঘর্মাক্ত কপালে।
গোলাম সারওয়ার, এ যুগের বিচক্ষণ সম্পাদক, অনিচ্ছা সত্ত্বেও লাল কালির শিরোনামে ছাপা হয় একটি মেয়ের শ্লীলতাহরণ তার দৈনিকে প্রায় প্রতিদিন। উনত্রিশে আমাদের লেখাপড়ায় ইতি, ত্রিশে চাকরির সন্ধানে জুতো ক্ষয় তেত্রিশে বিবাহ বন্ধন- এই বিশাল সময়ের কাঁনাচে কদাচিৎ ধর্ষণ অস্বাভাবিক কিছু তো নয়। ভুলে গেলে চলবে না, সে যুগের তিনাদের মতো নাভীর নিচের পশম এ যুগেও তেরো চৌদ্দতেই গজায়।
সংবাদপত্র হাতে নিয়ে চায়ের কাপে ঠোঁট ডুবিয়ে সহকর্মীর দিকে চোখ তেড়া করেন সরকারি কাচারির দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরে নিরঞ্জন- “বুঝলেন দিদি আমি কি বলি, বাল্যবিবাহের মূল উৎপাটন করতে গেলে বেড়ে যেতেই পারে ধর্ষণ।”
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register