Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় পরেশ নাথ কোনার

maro news
কবিতায় পরেশ নাথ কোনার

১। শঙ্কা

ঝিরঝির করে কাঁপছে সজনে পাতা হিমেল হাওয়ায়, বুকের ভিতর শৈত্য নামে, লোম কূপেতে জমছে বরফ, দরজা বন্ধ স্বর্গ ধামে। সবাই যেমন হচ্ছে খরিদ, তুমি ও কী তাহলে খরিদ হলে ? আমরা যারা ছা - পোষা, মামা দাদা নেই কো যাদের, যাবো কোথায় , বিনা দোষে কয়েদ হলে ? ওরা যারা মেজো,সেজো ,এমন কি ওদের ছোট্ দাদা ,চোখ রাঙিয়ে কথাবলে , মুখের উপর আঙ্গুল তোলে, সবাই কেমন চুপ মেরে যায়, শামুক যেমন ছোঁয়া পেলে। আছে যত নন্দ ঘোষ, ঢোকায় তাদের গোয়াল ঘরে, আসল যারা করলো দোষ, কাগজ বিনে পাচ্ছে ছাড়া, নির্দোষীরা টানছে ঘানি, মরছে তারা মাথা কুরে। তোমাকে তো সত্য মানি, অসহায়ের সহায় তুমি, ন্যায় বিচারের শেষ ঠিকানা। তোমায় যখন ঝুঁকতে দেখি সামান্য ঐ প্রসাদ লাগি, বুঝতে পারি ঘুণ ধরেছে বাড়ির ঐ শির খুঁটিতে, কখন যে পড়বে ভেঙ্গে কারো কিছু নেই তো জানা।

২। শুন্যতা মন জুড়ে

চারিদিকের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেলে নেমে আসে অন্ধকার--- মন খারাপের অন্ধকার। গলির পথ গুলো সব জনশূন্য, শূন্যতা সারা শরীর মন জুড়ে।বাগানের গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে মুখ নীচু করে দোষী ছাত্রের মতো। ফেলে আসা জীবনের ধাপগুলো হাতধরে নিয়ে যায় দ্রোণাচার্যের পাঠশালায়, অর্জুন নয় যুধিষ্ঠির সম, পাখির চোখ দেখি না , দেখি শৈশব, কৈশোর, যৌবনের ফেলে আসা নানা রঙের দিনগুলি। চোখ বুজে যত আলো দেখি বাইরের অন্ধকার তত ই জড়িয়ে ধরে মনকে। সাবধানে তুলে রাখা জীবনবোধের বর্ণপরিচয়ে চোখ বুলাই, ক্রমশ তলিয়ে যাই। পাকা কামরাঙার মতো ফিকে হলুদ পাতায় কোন বর্ণ চোখে পড়ে কোনটা পড়ে না। পাটিগণিতের অঙ্কের তেল দেওয়া লাঠিতে ওঠার বাঁদরের মতো যতটা উঠি নেমে যাই তার দ্বিগুণ। অন্ধকার গলা টিপে ধরে , অক্সিজেনের অভাবে মানুষ যেমন ছটফট করে , তেমনি করে ছটফট করি। চোখের সামনে সংস্কারের , ভাবধারার, প্রতিষ্ঠানের অপমৃত্যু দেখি অসহায় ভাবে । সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাবাবেগের বন্যায় স্বার্থের পুষ্টি ,সত্য মরে ডুবে । নদী ভাঙনে তলিয়ে যায় বসতি , ভিটেমাটি ,মায়ের তুলসী মন্দির, দেবালয় সব---সব ,আর ভেসে আসে অসহায় মানুষের বোবা কান্না। যে কান্নার প্রতিধ্বনিতে বেড়ে যায় শুন্যতার হৃদস্পন্দন।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register