ঘুঘুরা বাসা বেঁধেছে আমারই ভিটায়
আমি অনুভব করি স্বপ্নের গভীরে
এক সনাতন জুজু ক্রমাগত চরে বেড়ায়
সারাক্ষন ধরে আমার ভিতর ভিতরে।
ঘরের যে কুঠরিতে থাকি‚তার
কোনো দরজা নেই– জানালাও নেই–
চারপাশ জুড়ে শুধু– শুধুই দেওয়াল।
আর– নুনে খাওয়া পলস্তরা খসা
জরাজীর্ণ সেই দেওয়ালে–
কীসব যেন লিখে রেখেছে কারা।
গূঢ় সান্ধ্যক্ষরে লেখা সেই অজ্ঞেয় লিপি
পড়ে উঠতে পারিনা আমি‚
তার খাপছাড়া রূপ ধরতে পারি না।
তাই কুপি জ্বেলে নেমে পড়ি খাঁচার ভিতরে–
অপরিচিত লিপির পাঠোদ্ধারে ।
ধরা দেয় না লিপি পাখিরা– তাদের পাখশাটে
নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হই আমি– রক্তাক্ত হই।
তবুও পাখিরা থাকে অধরা
আরো খসে খসে পড়ে শব্দদ্রুম দেওয়াল
অচিন সে ঘর–
নিশিদিন ঘুঘুরা বিবাদ করে চলে পরস্পর।
0 Comments.