Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ছোটদের জন্যে বড়দের লেখায় A.F.M Shebgatulla (পর্ব - ১০)

maro news
ছোটদের জন্যে বড়দের লেখায় A.F.M Shebgatulla (পর্ব - ১০)

সাবির সুবীর আর মাতলা নদী

পর্ব - ১০

এখনো ভোর হতে ঢের বাকি। সাবির সুবীর , টিংকু মামা বেশ ক্লান্ত। ওরা কুটিরে ফিরে এলো।এদিকে ওদের বাড়িতে ফিরে আসার জন্য বাড়ির লোকেরা বলছে। তবে মালিকের ছেলে ডাকাত ধরে দেবার জন্য ওদের কে জানালো " আজ ফিসারিতে পার্টি হবে তোমরা ছাড়াও আমাদের লোকজন থাকবে । সমস্ত খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব আমাদের!" সেই মত ওরা সম্মত হলো। ওরা ক্লান্ত ছিল তাই পুলিশের সাথে দেখা করতে পারলোনা। ওরা সারা রাতের ধকল কাটানোর জন্য তিনজনই ঘুমিয়ে পড়লো।
ঘুম থেকে উঠলো প্রায় দশটা- সাড়ে দশটা নাগাদ। বাড়ির লোকেরা জানত না এত কান্ড ঘটেছে। তবে টিভিতে ওদের নিয়ে খবর বেরিয়েছে। সেই মত বাড়ির লোকেরা জানতে পারলো ফোন করে ঠিক ওদের কি হয়েছিল। ডাকাত ধরতে পেরেছে বলে যেমন ভালো লেগেছিলো। তেমনই উদ্বিগ্ন ও ছিল।
ঘুম থেকে ওঠার পর ওরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে। আচ্ছা ঢিবির ওধারে কেউ যায়না কেনো!? কেনই বা লোকে এত সংস্কারবশত ওখানে যেতে চায়না!? টিংকু মামা বলে উঠলো তোরা কি বুঝতে পেরেছিস ওখানে মাটি কেমন বসে বসে যাচ্ছিল। সাবির সুবীর বললো, " হ্যাঁ মামা আমাদের কেমন মনে হচ্ছিল , বাঁধা থাকা অবস্থায় মাটি কেমন যেনো বসে যাচ্ছে। " চলো একবার ওদিক থেকে ঘুরে আসি।
ওরা তিন জন ই ওদিকে গেলো। এদিকে ফিশারীর মালিকের ছেলে পার্টির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সাবির সুবীর টিংকু মামার সেদিকে যেনো কোনো খেয়াল নেই।
যেদিকে ওদের বাঁধা হয়েছিল সেখানকার ধ্বস্তাধ্বস্তি মাটি বসে যাওয়ার চিহ্ন এখনও বেশ বোঝা হচ্ছে। ওখানে হাঁটা হাঁটি করতে গিয়েই হঠাৎ প্রায় এক কোমর মাটিতে সাবির ঢুকে গেলো! সবাই তো অবাক! সুবীর আর টিংকু মামা সাবিরকে তোলার চেষ্টা করতে থাকে। প্রথমে হাত ধরে টানতে থাকে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হবার যেন নয়!!
শেষে কুটির থেকে একটা কোদাল জোগাড় করে আনা হলো। কোমরের কাছে কোদাল চাঁচতে চাঁচতে হঠাৎ কাঠের কাঠামো মতন দেখতে পেলো। কাঠের কাঠামো টা যেনো শেষ হওয়ার নয়। কাঠের সূত্র ধরে ওরা আর একটু মাটি খুড়ল! ক্রমে ওরা বুঝতে পারলো এটা কোনো সাধারণ কাঠামো নয়। এটা ছিল জাহাজের মাস্তুল। ক্রমে ওরা মাটি আরো খুঁড়তে থাকে।
এটা ছিল একটা জাহাজ টন টন মাটির তলায় সে এত দিন ঘুমিয়েছিল। এদিকে পিকনিকের লোকজন ওদের ফোন করে ডাকছে। ওদের সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই। নেশার মতন জেগেছে এদের জাহাজ সম্পর্কে জানতে।
অনেক টাই খোঁড়ার পর কিছুটা আন্দাজ করলো এই জাহাজটা সোজাসুজি ই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গছিল‌। আর একটু খোঁড়ার পর মনে হলো।স্থানীয় থানা কে খবর দেওয়া দরকার। মালিকের ছেলেকেও গোপনে বললো! এই জায়গাটা তে বনবিবির থান হিসাবেই জেলে মাঝিরা বংশ পরম্পরায় ফুল মোমবাতি দিয়ে আসছে!! কারনটা কি কেউ জানে না! আজ তাও কিছুটা হলেও তার আন্দাজ পাওয়া গেলো। আর এই জায়গাটা তে কেউ আসতেও চায় না। কি কারণে সেটা কেউ বলতে পারেন না। সেটারও কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গেলো।

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register