Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১৮)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১৮)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট

কক্ষচ্যুত হয়ে যাওয়া চাঁদকে সামনে রাখলে ধ্যানমগ্ন প্রেম থেকে উঠে আসে তোমার নাম। তুমি আমার পরম কিংবা পরম্পরাগত আত্মিক প্রশান্তি যা ব্রহ্মান্ডে বৃষ্টির আবির্ভাব ঘটায়৷ চরিত্র কত রকমের হয়। তোমাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমার ভুলের দিকে ফুল ফোটে আর ঠিকের দিকে তামার রঙ। অথচ তুমি'র পর বাকিটা শূন্যই থেকে যায়। সে একটা দিন ছিল শ্রাদ্ধের নিয়মভঙ্গ৷ শেষ পঙ্গতে বয়স্ক দাদু এসে মাটিতে এঁকে দিয়েছিলেন চাঁদ কিংবা পৃথিবী কক্ষচ্যুত হলে খবর কিভাবে পড়া হবে৷ ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিনে কি কি ভেসে উঠতে পারে৷ তিনি আরও বলেছিলেন তোরঙ্গ আসলে একটি যুগকে রিপ্রেজেন্ট করে, যেখানে মানুষ ভাবত বাঁশ দিয়ে সাইকেল তৈরি কিংবা সন্তান দোলানোর দোলনা বানানোর কথা৷ চাকা আবিষ্কারের পর মানুষ শুধু এগিয়েই গেছে৷ ওনার মুখ ঠিক কেমন বা কতটা বলিরেখায় ভরা সে কথা মনে নেই তবে তাঁর ধুতিতে লেগেছিল মাছের কাঁটা। আর দাঁতে জলজিরার প্যাকেট। এই ইলাস্ট্রেশনে যুগের পরিবর্তন আর অদ্ভুত কল্পনায় মিশে আছে হরমোন জনিত ভারসাম্যহীনতা। আমি কতটা বোঝাতে পারলাম তার ওপর কিছুই নির্ভর করে না তাও বৃষ্টির দিনে আকাশের দিকে তাকিয়ে গুনি কতগুলো এরোপ্লেন চলে যাচ্ছে। অলসতায় মোবাইল স্ক্রল করি, কলকাতার পুরনো ট্রাম এসে দাঁড়ায় আবার পাশকাটিয়েও চলে যায়৷ ওই দাদুও চলে গেছিল৷ সকলেই চলে যায়৷ কেউ ফিরে আসে কেউ আসে না৷ যারা আসে না তাদের গন্তব্যে নতুন রঙ না থাকলেও সময়ে সময়ে ঘাস জন্মায় যা জন্মান্তরের রৈখিক নিয়ম মনে করিয়ে দিতে পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে; অপলক। মনের এই অবস্থায় হঠাৎ প্ল্যানচেট উঠে আসে৷ একটা আত্মাকে ঘিরে পাঁচজন মানুষ। মনের মিল নেই। অথচ ওইটুকুই দরকার। যেখানে প্রিয় মানুষের চোখের তারা অবলীলায় পড়ে থাকবে হাতের তালুতে আর মোমবাতির শিখায় ভেসে যাবে সম্পর্কের ধামাচাপা দেওয়া আদিখ্যেতা৷ আত্মা আসুক বা না আসুক তুমি আমি ঘন অন্ধকারে তলিয়ে যেতে যেতে অন্ধত্বকে তুলে ধরব পৃথিবীর প্রাচীন বৃক্ষতলে৷ সৃষ্টিকর্তা হয়তো ভেবে দেখবেন চাকা-যুগের জন্ম দেওয়ার মতো আমাদের জন্ম-যুগও নিতান্ত প্রয়োজনের গৃহস্থালি৷ তখন নয় আবার শুরু করো প্রেম নিবেদন, হাজার হাজার অক্ষর বোনা, চিঠির গন্ধ৷ সূর্য রঙের বিছানায় শুয়ে লুকিয়ে দেখে নেব আসল সূর্য ঠিক আছে কিনা৷ তুমি সূর্যমুখী ছুঁড়ে বলো আমার আর সূর্যমুখী রঙের কোন পার্থক্য নেই৷ তাই নক্ষত্রমন্ডলী একদিন নিজেদের মধ্যেই কোলাহল থামিয়ে বলবে শ্যামলা নয় নক্ষত্র রঙের স্তনে লেগে আছে রেবতী জন্মের দাগ৷ যা একমাত্র ঠোঁট- লাল রঙের মাঞ্জা সমেত ঘুড়ি৷
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register