Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

গল্পেরা জোনাকি তে নবপর্ণা

maro news
গল্পেরা জোনাকি তে নবপর্ণা

র' অফিসার

    নাতাশা করপোরেট অফিসের উচ্চপদে যুক্ত। ও গ্ৰুপ হেড, ওর আন্ডারে ৫ টি গ্ৰুপ এবং তার ৫০ টি ভীষণ উচ্চশিক্ষিত স্মার্ট ছেলে মেয়েরা কাজ করছে। ওদের অফিসের সব ক্লায়েন্ট বিদেশের এবং দেশের বেশ কিছু নামকরা কম্পানি আছে। নাতাশার রোজ অফিস থেকে বেড়োতে মোটামুটি দশটা সাড়ে দশটা হয়েই যায়। পূণের মতন জায়গায় এই সময়টা কে সন্ধেই বলা চলে। আজকে ওর গাড়ী সার্ভিসিং -এ গেছে, তাই নাতাশা আজকে ক্যাব বুক করে।ক্যাবে করে অফিস থেকে যখন বেড়োয় তখন রাত ১১ টা বাজে,পূণেতে এই রাত মানে সন্ধ্যে। যাইহোক ক্যাবে উঠে অফিসের মেল দেখতে ব্যাস্ত হয়ে যায়। হঠাৎ নাতাশা খেয়াল করে ড্রাইভার অন্য একটি রাস্তা ধরে, নাতাশা ড্রাইভার কে সেই কথা জিজ্ঞেস করতেই ড্রাইভার বলে ওর একটি কাজ আছে, আর এই রাস্তা টা নাতাশার বাড়ী যাওয়ার জন্য ও সর্টকাট হবে। নাতাশা কিছু বলে না, কিন্তু ওহ সতর্ক হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে ক্যাব ড্রাইভার একটি আঁধো অন্ধকার রাস্তায় এনে গাড়ী দাঁড় করায়। নাতাশা জিজ্ঞেস করলে বলে একটু কাজ আছে। নাতাশা বলে এটা আপনাদের ক্যাব কম্পানির নিয়মের মধ্যে পড়ে? এর কিছুক্ষণ পরে চার পাঁচজন লোক এসে নাতাশা কে গাড়ী থেকে নেমে আসতে বলে,নাতাশা বলে কেন আমি গাড়ী থেকে নামবো, আমি গাড়ী বুক করেছি,আমাকে আমার ডেস্টিনেশন অবধি পৌছে দিন, না হলে আপনার কম্পানির এগেন্সটে কমপ্লেন করবো। সবাই মিলে এবং ক্যাব ড্রাইভার নাতাশা কে রিভলবার দেখিয়ে বাইরে আসতে বলে। নাতাশা যখন ই বাইরে যায় ওর সঙ্গে থাকে অটোমেটিক কোল্ট রিভলবার । সে কোন কিছু না বলে ওর হিডিন যায়গা থেকে, রিভলবার টা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসে। নাতাশা জিজ্ঞেস করে এ সবের মানে টা কি? ওরা বলে সঙ্গে যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে। ও বলে অফিসের ল্যাপটপ ওর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, ওরা তখন ওকে সবাই মিলে আক্রমণ করে। আর নাতাশা এটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। ওর পাল্টা আক্রমণে ওরা যে চার, পাঁচ জন ছিল, ভীষণ ভাবে ঘাবড়ে গিয়ছিল। অনেকক্ষণ ধরে হাতাহাতি লড়াই হওয়ার পর ও কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ওরা ভাবতেই পারেনি যে, একটি মেয়ে হয়ে মার্শাল আর্টে এতো তুখোড় হবে তাইচি,নিনজা,সাওলিন,কুংফু -- র সব কিছুই ওহ জানে। ইতিমধ্যে নাতাশার ডিপার্টমেন্টর লোকজন এবং পুলিশ বিভাগের প্রধান ও সেখানে চলে আসে। তখন নাতাশা বলে যে অনেক দিন ধরে এই গ্ৰুপটিকে ধরবার চেষ্টা চলছিল। এরা একটি কুখ্যাত টেররিস্ট গ্ৰুপের স্লিপার সেল ছিল। ওরা যে আজকেই এভাবে ধরা পরবে সেটা কেউই বুঝতে পারেনি। আসলে নাতাশা হচ্ছে "ইনন্ডিয়ান ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট "-- "র " এর আন্ডার কভার সুপার লেবেলের একজন স্ট্রং অফিসার। ওদের চিফ (হেড) ওকে বাড়ি পৌছে দেয়। আজকে নাতাশা ভীষণ খুশি যে ও ওর "মিশন" এ সফল হয়েছে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register