Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১২)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১২)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট

কথাই তো আসে এলোমেলো ভাবে৷ কাউকে লিখি আবার কাউকে উড়িয়ে দিই৷ আজকাল মাঝে মধ্যে খুব কান্না পায়৷ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখি, গ্লেসিয়ার গলে নদী নেমে আসছে৷ কনকনে ঠান্ডা জল। রিভার র‍্যাফটিং করছে অপরিচিত উল্লাস। উল্লাস আমার ভীষণ প্রিয় শব্দ৷ তাও চোখের জলের সাথে উল্লাসকে মিশিয়ে দিতে পারিনি। না পেরেছি একনিষ্ঠ হয়ে ঈশ্বরের দিকে সব বিলিয়ে দিতে৷

এই আবেগঘন চিন্তাভাবনা থেকে সরে এলে আয়নাকে সামনে বসিয়ে প্রমান করি অক্সিটোসিন হরমোনের অধিক ক্ষরণ। তবে কি কষ্ট বলে আদপেই কিছু নেই? নাঃ। এই আপেক্ষিক কথাগুলোর জন্য কলাগাছের ভেলাই শ্রেয়৷ কিংবা মোচার নৌকা-খোল, তাতে কথা ভেসে যাক সাথে আমার আভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো। সেই তল না পাওয়া গভীরতার দিকে মুখ ফিরিয়ে এক মুহুর্তের জন্য বলি ---"অঙ্গে অঙ্গে বাজায় বাঁশি"

বাঁশি উচ্চারণ করলেই নৈবেদ্যের থালা সাজায় হরিপ্রসাদবাবু। তাঁকে বাবু বলাটা কি ঠিক হল? জানিনা, বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ঠিক ভুল গুলিয়ে গিয়ে মনে পড়ছে পুরনো লেখাগুলোর কথা। যেখানে অনেক আলোচনার ভেতর ব্রহ্মাণ্ড নেমে এসেছিল। সেদিন স্বচ্ছ করা হয়নি ব্রহ্মান্ড তার আপাদমস্তক অহমিকা ত্যাগ করার পর ব্রহ্মান্ড হতে পেরেছিল। যেখানে মহাকাল একটি অদৃশ্য পেন্ডুলাম বলে ধরে নিয়েছি৷ পেন্ডুলামের দোলনের ছন্দে পরিভ্রমণকারীদের মধ্যে সূর্য তার আলো শূন্যে প্রতিফলিত করতে না পারার দায়ে শত শত ফুল ফোটেনি৷ তবে কি শূন্যেও ফুল ফোটে?

না শূন্যে ফুল ফোটে না ওসব সাহিত্যের রূপক মাত্র, তাই ব্রহ্মান্ড নয় আমরা একটি মাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে অল্পবিস্তর আদিখ্যেতা দেখাই৷ এখানে প্রাধান্য লাভ করবে আয়না আর দূরবর্তী নক্ষত্রবীথি। আলো সরে সরে যাচ্ছে না৷ আত্মা স্থির৷ আর রক্তস্রোতের মতো পিঠে পদ্ম বোঝাই করে থামতে চেয়েও পারছে না৷ ব্যপারটা অত্যন্ত জটিল। তাই কোন রাজকুমারী এই আদিখ্যেতা সভায় আসতে চায়নি৷ লড়াই চালিয়ে বলে গেছে ভালোবাসার মাপকাঠিতে সে কয়েক কদম আগে৷ ভুলবশত আমি গাছ খুঁজতে শুরু করলাম সঙ্গে বহুপুরনো কদমের ঝুলন্ত শরীর যাকে রাত্রি বেলায় অসংখ্য চাঁদ বলে ভুল করতাম।

আমার আত্মা বোঝে না আমি কেন এমন জটিলতা আনি৷ কেনই বা সাধারণ কথার ভেতর ঢুকে দিয়ে কাটাকুটি খেলে বাধ্য করি দোসরকে টেনে আনতে৷ এই তো মুখের সামনে বসে আছে আমার হাতের মুখে - প্রসস্থ সুখ। আমি পাখিদের ডাক খুঁজছি৷ খুঁজছি কষ্ট দু:খের কুঁড়েঘর৷ যেখানে সেই পদ্মওয়ালা ফুল দোকানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে একটা গোলাপি চিঠি বাড়িয়ে বলবে রাত্রি দুটোর পর সূর্য আসবে৷ বাকিটা চিঠির ভেতর। তাড়াহুড়োয় চিঠি খুলব তৎক্ষনাৎ উড়ে যাবে হ্যারিকেন আর আমাদের বিচ্ছিন্ন ঠোঁট।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register