Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ৯)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী ঠোঁট 

ভালোবাসা একটি পাঠোদ্ধার করতে না পারা লিপি।

--------- খাবার টেবিলে বসে কথাটা মাথায় এলো। বেশ কিছুদিন ধরে সারা ফেসবুক জুড়ে ইন্দুবালার তৈরি আমতেলের রকমারি। আহা বড় আবেগে আর প্রথাবদ্ধ স্বাদ৷ নিজে হাতে মুড়িতে মেখে দিয়ে বসে দেখে গেলাম। কি দেখলাম? সত্যিই কি কিছু দেখলাম? এ জিনিস বহুবার হয়েছে আমি তাকিয়ে আছি অথচ কিছুই দেখছিনা৷ আবার কিছু ভাবছিও না৷ তবে আজ ভাবছিলাম। উচ্চমাত্রার জলীয়বাষ্পের ঠেলায় আমার মনেও বুঝি ঘাম জমছে৷ তাই হয়তো সব কটা ঘরে বন্যার পূর্বাভাস৷

জীবনে এরম বহু মূহুর্ত আসে যে সময় ভুলে যেতে চাওয়া স্বপ্নগুলোই বার বার দেখি; জেগে, ঘুমিয়ে। এই মুহুর্তগুলো দিশেহারা হয়ে যাওয়া ক্ষণ। হারিয়ে ফেলি আমার মোহ লোভ ভয় ইত্যাদি জয় করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রহ্মমুখী আত্মাকে৷ নিজেকে জিজ্ঞেস করি কে সূর্য? সে যদি পোড়াতেই পারে তাহলে যা পুড়িয়ে দিতে চাই তা কেন বার বার ফিরে আসে৷ মুখের সামনে হাজির হয় সপ্তর্ষিমণ্ডল- ক্রতু, পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা, বশিষ্ঠ, মরীচি। বশিষ্ঠ পাশে মায়ামুখ নিয়ে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিচ্ছে অরুন্ধতী৷ মরীচি ব্রহ্মামুখী। সৃষ্টির দায়িত্ব মাথায় ফুটিয়ে তুলছে সদ্য আড়মোড়া ভাঙা গভীর খাদ৷ আমার সামনে থেকেই এরা হাত ধরাধরি করে পরিধি চিনিয়ে মাঝে ফুটিয়ে তুলছে ধ্রুবতারার কুন্দ বাহার।

আমি দেখছি না- খাদের অন্ধকারে কেউ কেউ মোমবাতি হাতে ছুটে এসেছিল। আমার আটকানোর ক্ষমতা নেই। কারণ গতি দান করতে অক্ষম। অথচ যেকোনদিন থেমে যাবো৷ শূন্য আবিষ্কারের ইতিহাস কুয়াশা ঘেরা হয়ে পড়ে থাকবে আর আমার ভেতরের শূন্যরাশি তখন ফুড়ুৎ, এক একটা নামহীন আদরহীন বিষন্ন চড়াই। পৃথিবীর প্রতিটা পাখির জন্য বরাদ্দ মাছ হঠাৎ করেই ব্যস্ত হয়ে উঠছে প্রদর্শনী কেন্দ্রের গ্রীণরুমে।

আচ্ছা শূন্যের রঙ কি সবুজ? কিংবা নক্ষত্রের রঙ?

- আগামীদিনগুলোতে ধ্যান শেষে প্ল্যানচেটে আযভট্ট আসবেন, আসনে বসিয়ে জিজ্ঞেস করব শূন্য আসলে কি? ভালোবাসার কোন অধ্যায়তে নিজেকে যত্নশীল হিসেবে শূন্যের ভেতর আশ্রয় নিতে হয়?

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register