Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ৪)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ৪)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট

বহুদিন পর আয়নার সামনে চুল চিরুনি করছি। চিরুনির দাঁত ধরে ঝুলে আছে ব্রহ্ম। সৌন্দর্য ঘিরে আয়নায় সূর্যমুখীর বীজ খাচ্ছে বুনো টিয়ার দল। ঠিক এই সময়তেই আমি উন্মাদ হয়ে যাই৷ খাবার টেবিলে চৌকো করে কাটা তরমুজ৷ ভুল অংকের খাতা। রিফ্লেক্সন আর সূর্যের আলো মিলে সাদা মেঝেতে গড়িয়ে দিচ্ছে উপুড় সভ্যতা। ইচ্ছে করছে কণাজগৎ নিয়ে কথা বলি। বলি আমাদের সমস্ত অজানা ও রহস্যের ভেতর রয়েছে খরগোশের চোখ আর পোশাক পরিবর্তনের তপস্যা৷ কিছুই বলা হয়না। হঠাৎ করে কলিং বাজে৷ দরজায় দাঁড়িয়ে আছে দুরত্বের ক্ষুরধার জ্যাকেট৷ আমি বুকের ওপর কালো ওড়না চাপাই৷

নিউমারলজি হিসেবে কালো ব্যবহার শুভ নয়। অশুভ কি সেটা বুঝতে না পারার অপরাধে নজরবন্দী হয়েছে কোলাহল। আর সেদিকেই ছুটছে সমস্ত এলোকেশী রমনী। আমি দরজায় দাঁড়িয়েই থাকি। দিন যায়, বছর ফুরায়, সূর্যের হাত ধরে সপ্তর্ষিমণ্ডল নেমে আসে। আমাকে শোনায় সৃষ্টির আগুন আর খিদে পেরিয়ে কিভাবে হৃৎপিণ্ড চুবিয়ে রাখে নোনাজলের অতলে। সেও এক ভয়ংকর কালো। যাকে অন্ধকার বলে বহু কবিতায় ছুঁয়েছি৷ এতে নতুন কিছু হয়েছে বা ঘটেছে বললে বাড়িয়ে বলা হয়। অন্ধকার সকলেই লেখে। সাথে দেশলাই জ্বেলে থোকা থোকা রেবতী জ্বালিয়ে সাজিয়েও দেয় রুফটপ আড্ডা।

আড্ডায় একবার চায়ের কাপ উল্টে গেছিল। ব্রহ্ম ঘনিষ্ঠ হয়ে ঠোঁটের গোড়ায় কামড় দিতে দিতে বলেছিল এই দাগ থেকে নৌকা সমেত আস্ত নদী এঁকেবেঁকে ঢুকে যাবে শরীরের মরচে রঙের কোষে৷ তারপর থেকেই নদীজন্ম। একের পর এক কবিতায় প্রমান রেখেছি৷ জন্ম লগ্নে রবির অবস্থান ও জোড়া বাগানের মহাজ্ঞান। ব্রহ্মকে বলা হয়নি আমার যজ্ঞবেদির কথা। তাই ফুল দেবার আগে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন নিরঞ্জনের ব্যাঞ্জো।

সেই থেকে আমি বারোমাস্যা। পাঁজরে তীব্র সূর্য। উপাসনার চন্দনে কর্পূর মেশাতে মেশাতে বলি 'আমি ব্রহ্মে নিমজ্জিতা প্রাণ, মনে রেবতী নক্ষত্রের সাতাশটি জ্বলন্ত তারা'।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register